সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আবহের মধ্য়েই নতুন সঙ্কটে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা  
  • রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত  মণিপুরের বাসিন্দা ১৮৫ জন নার্স চাকরি ছেড়ে বাড়ি গিয়েছেন 
  • চাকরি ছাড়তে পারেন উত্তর পূর্ব, ওড়িশার নার্সরাও, এমনই আশঙ্কা বেসরকারি হাসপাতালের  
  • পরিস্থিতি যে খুবই উদ্বেগজনক, সেটা মানছেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাব্যক্তিরাও 

করোনা আবহের মধ্য়েই নতুন সঙ্কটে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত  মণিপুরের বাসিন্দা ১৮৫ জন নার্স চাকরি ছেড়ে ইতিমধ্যেই বাড়ি চলে গিয়েছেন। যার জেরে আশঙ্কার মুখে কলকাতার বহু বেসরকারি হাসপাতাল।   

আরও পড়ুন, কলকাতা মেডিক্যালের ভিতরের রাস্তায় অবহেলায় মৃত্যু এক বৃদ্ধের, করোনা আতঙ্কে দেহ ছুঁলেন না কেউ


কলকাতায় অন্তত ১৮টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলির বক্তব্য়, করোনার চিকিৎসার পরিষেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশকে কোয়রান্টিনে পাঠিয়ে বাকিদের দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজ চালানো হচ্ছিল।  কিন্তু ভিন্ রাজ্যের নার্সরা চলে গেলে শহরের এই করোনা পরিস্থিতে পরিষেবা চালু রাখা কঠিন হয়ে দাড়াবে। শহরের বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য রাজ্যের নার্সরাও ছাড়তে পারেন চাকরি। চাকরি ছাড়তে পারেন উত্তর পূর্ব ও ওড়িশার নার্সরাও। নার্স নিয়ে এমনই আশঙ্কায় রয়েছে শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলি। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের হেলথ কেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান প্রশান্ত শর্মা জানিয়েছেন, বেসরকারি হাসপাতালগুলির ১৫ শতাংশ নার্স উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দা। দক্ষিণ ভারতের কেরল ও কর্নাটক থেকে কাজ করতে আসেন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এদিকে ওড়িশা থেকেও  রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকই সেবিকা হিসেবে কর্মরত।

আরও পড়ুন, অস্ত্রোপচারের পর রোগীর রিপোর্ট পজিটিভ, করোনা আক্রান্ত মুকুন্দপুর আমরির এক চিকিৎসক ও নার্স

আমরি গ্রুপের সিইও তথা অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট রূপক বড়ুয়া জানিয়েছেন, শনিবারই তাঁরা এ বিষয়ে সরকারকে চিঠি দেবেন। তিনি বলেছেন, 'আমাদের আশঙ্কা, এরপর অন্য রাজ্যের বাসিন্দা নার্সেরাও এই পথ অনুসরণ করতে পারেন। যার ফল হবে মারাত্মক।' প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'এ বিষয়ে লিখিত ভাবে জানানো হলে আমরা খতিয়ে দেখব। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের সাহায্য নিয়ে কী ভাবে এর মোকাবিলা করা যায়, সরকার সেটা দেখবে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে সরাসরি জড়িত কর্মীরা চলে যেতে পারেন কি না, সেটাও দেখা দরকার।' করোনা আবহে নতুন করে এই সঙ্কটে  উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাব্যক্তিদেরও। 

 

 

কোভিড হাসপাতালে স্বাভাবিক মৃত্য়ুতেও পরিবার চাইলে সৎকার করবে কলকাতা পৌরসভা, জানালেন ফিরহাদ

করোনা আক্রান্ত প্রাণ হারালেন এবার রাজ্যের এক আইনজীবী, এদিকে আইসোলেশনে তাঁর স্ত্রী

কোভিড পজিটিভ হয়ে মৃত্য়ু প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ হরিশঙ্কর বাসুদেবনের