শনিবার সন্ধ্য্যা ৭ টা নাগাদ কলকাতার পার্কস্ট্রিট এলায় আচমকাই গুলি চলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় শহর জুড়ে। এমএলএ হস্টেলের উলটো দিকে ভারতীয় জাদুঘরের সামনে সিআইএসএফ-এর ব্যারাক লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ কর্তব্যরত এক জওয়ানের বিরুদ্ধে।
কলকাতার পার্কস্ট্রিট চত্ত্বরে গুলিবৃষ্টির ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে। মানসিক অবসাদের জেরেই এই কাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ আচমকাই সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালান CISF হেড কন্সটেবল। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ একাধিক পুলিশের শীর্ষকর্তারা উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে।
গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সাংবাদিকদের জানান, “সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ এই গুলি চলার ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। ডিসি সেন্ট্রাল গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। সিআইএসএফ-এর সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়। ঘটনায় একজন অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর নিহত হয়েছেন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমানড্যান্ট আহত হয়েছেন। ঘটনায় ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে। কী কারণে এই ঘটনা তার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
শনিবার সন্ধ্য্যা ৭ টা নাগাদ কলকাতার পার্কস্ট্রিট এলায় আচমকাই গুলি চলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় শহর জুড়ে। এমএলএ হস্টেলের উলটো দিকে ভারতীয় জাদুঘরের সামনে সিআইএসএফ-এর ব্যারাক লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ কর্তব্যরত এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সহকর্মীদের লক্ষ্য করে ওই জওয়ান গুলি চালায় বলে অভিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একে ৪৭ বন্দুক দিয়ে বেশ কিছু রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ঘটনায় দুজন আহত হয় এবং পরে তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আর এক জওয়ান। সূত্র মারফত খবর ঘটনার সময় ব্যারাকে প্রায় শতাধিক সেনা ছিল। ঘটনার পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আধা সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছল বিনীত গোয়েল সহ একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইমও। জাদুঘরের ভেতরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে কম্যান্ডো ঢোকানো হয়।