লকডাউনের মধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি বামেদের, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তুলকালাম রেড রোড

  •  লকডাউনের মধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি বামেদের 
  • একাধিক দাবিতে শনিবার রেড রোডে প্রতীকী প্রতিবাদে সামিল হন বাম ও অন্যান্য দল 
  • আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে এলাকা ফাঁকা করে কলকাতা পুলিশ 
  • লকডাউনের মধ্যে এ ধরনের আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করেছে শাসক দল 

Asianet News Bangla | Published : Apr 18, 2020 11:36 AM IST


 লকডাউনের মধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি বামেদের। যার জেরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা। একাধিক দাবিতে শনিবার রেড রোডে প্রতীকী প্রতিবাদে বাম ও অন্যান্য দলসমূহের নেতৃবৃন্দ সামিল হন। আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করে এলাকা ফাঁকা করে পুলিশ। 

 

জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করতে গিয়ে যথেষ্টই বেগ পেতে হয় পুলিশকে। আন্দোলনকারীদের পুলিশভ্যানে তুলতে গিয়ে একপ্রকার ধস্তাধস্তি বেধে যায় পুলিশের সঙ্গে। করোনার সঠিক তথ্যের দাবিতে প্রতীকী বিক্ষোভ বামফ্রন্টের। লকডাউনের মধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বামেদের মূল দাবি গুলি ছিল-  দুর্নীতি, কালোবাজারি বন্ধ করে মানুষকে ন্যায্য রেশন পৌঁছে দিতে হবে। মিথ্যা নয়, সঠিক তথ্য চাই। রাজ্য জুড়ে নমুনা করোনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে, সমস্ত তথ্য মানুষের সামনে আনতে হবে। 

আরও পড়ুন, করোনার কোপ এবার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে, বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা

অপরদিকে, শনিবার রেড রোডের সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করল বামফ্রন্ট। তাদের অভিযোগগুলি ছিল- করোনা নিয়ে রাজ্য সরকার সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত  এ রাজ্যে কতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বা কত জনের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। এই অভিযোগ তুলে  কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা এদিন অভিযোগ করে বলেন, লকডাউন এর জেরে  রাজ্যের কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। গভীর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার ঘোষণা করলেও মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছাচ্ছে না। রেশনে চরম দুর্নীতি চলছে। এর প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি।

আরও পড়ুন,'রেশন-ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দখল একটি অপরাধ', টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যপালের

পাশাপাশি সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বজায় রেখে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা। আন্দোলনকারীদের রেড-রোড থেকে হঠাতে যথেষ্টই বেগ পেতে হয় কলকাতা পুলিশকে। একসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বাধে। সেই সময় সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে চলা হয়নি। লকডাউনের মধ্যে এ ধরনের আন্দোলনের কড়া সমালোচনা করেছে শাসক দল। যখন জমায়েত না করার কথা বলা হচ্ছে, তখন এ ধরনের জমায়েত করে আন্দোলন কাম্য নয় বলে মত শাসকদলের। 

 

 

 করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ু ক্যানসার রোগীর,আতঙ্ক ছড়াল রাজারহাটের হাসপাতালে

করোনা আক্রান্ত গার্ডেনরিচ থানার শীর্ষ আধিকারিক, স্বাস্থ্য ভবনের তরফে চূড়ান্ত সতর্কতা

কেন্দ্র বলছে ২৮৭, বাংলার হিসেবে রাজ্য়ে করোনা আক্রান্ত ১৬২

Share this article
click me!