মোদীর টাকা আসছে না, করোনা রুখতে 'হাত পাতছেন' দিদি

  • কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা আসছে না
  • করোনা মোকাবিলায় অনুদান তহবিল রাজ্য়ের
  •  ফান্ড দেবেন বেসরকারি ক্ষেত্রের প্রতিষ্টানগুলি
  • কীভাবে  এই কাজ করবে রাজ্য়  সরকার

Asianet News Bangla | Published : Mar 19, 2020 2:44 PM IST / Updated: Mar 19 2020, 08:23 PM IST

কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা আসছে না। করোনা মোকাবিলায় এবার বেসরকারি ফান্ডের দিকে ঝুঁকলেন মুখ্য়মন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, করোনা রুখতে অর্থ অনুদান প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য় সরকার। রাজ্য়বাসীর স্বার্থে বেসরকারি  প্রতিষ্ঠানগুলিকে তহবিলে অর্থ অনুদানের কথা বলা হবে।

করোনা টুঁটি টিপে ধরার আগেই মমতার পদক্ষেপ, রাতারাতি বাড়ছে আইসোলেশন বেডের সংখ্যা

বৃহস্পতিবার শহরের বেসরকারি হাসপাতাল নার্সিংহোম ও ডায়গনিস্টিক সেন্টারগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য়মন্ত্রী। নবান্নে সেই বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী জানান,কেন্দ্র করোনা মোকাবিলায় অর্থ জোগাবে  বলেছে।  কিন্তু এখনও টাকা আসেনি। অতীতেও বুলবুলের সময় অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেই ত্রাণ এসে পৌঁছয়নি। রাজ্য় সরকারকেই দায়িত্ব নিয়ে সব করতে হয়েছে। এবারও তাই নিজের তাগিদেই বেসরকারি  ক্ষেত্রের কাছে করোনার জন্য়  অনুদান চাইবে রাজ্য় সরকার।

বেসরকারি হাসপাতালেও 'নো রিফিউজাল', করোনা নিয়ে ব্যবসা করলে দেখে নেবেন মমতা

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের কর্পোরেট সোশ্য়াল রেসপন্সিবিলিটি তহবিল থেকে টাকা দিলে তাতে রাজ্য়বাসীই উপকৃত হবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য় দফতরের কর্তারা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্য়েই করোনা  ভাইরাস রুখতে কয়েক লক্ষ গ্লাভস, মাস্ক ছাড়াও ভেন্টিলেটর আনানো হচ্ছে। তাছাড়া স্য়ানিটাইজারও কিনতে  হচ্ছে রাজ্য়কে। এটা একটা বিপুল পরিমাণ খরচ। যার জন্য় অর্থ অনুদান প্রকল্প গড়ছে রাজ্য সরকার।

করোনার সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে লন্ডন ফেরত, গালিগালাজে 'উদ্ধার করছে' সোশ্য়াল মিডিয়া

এই বলেই অবশ্য় থেমে  থাকেননি মুখ্য়মন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে  মমতা জানিয়ে দেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি গেলে তাকে ফেরানো যাবে না। এক্ষেত্রে নিতে হবে নো রিফিউজাল নীতি। তবে এই প্রথমবার নয়, কদিন আগেই মাস্কের কালোবাজারি  রুখতে নিদান দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। ইবি তল্লাশি চালিয়েছে কলকাতার বিভিন্ন ওষুধের দোকানে। যদিও ওষুদের দোকানিরা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে বেশি দামা থাকার কারণে বেশি টাকাতেই মাস্ক কিনতে হচ্ছে তাদের।   

করোনা যুদ্ধে সরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে আগেই বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী।  বৃহস্পতিবার নবান্নে ফের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তাদের সামাজিক দায়িত্বের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কড়া ভাষায় তিনি জানিয়ে  দেন, করোনা আতঙ্ককে  কাজে লাগিয়ে কোনও ব্যবসা করা যাবে না। এদিন নবান্নের  সভাঘরে  ডাকা হয় কলকাতার সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলিকে। 

Share this article
click me!