নৈহাটিতে বাজি ও বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিপাকে পড়ল পুলিশ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হল আশপাশের বাড়ি। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বেগতিক বুঝতে পেরে নিষ্ক্রিয়কারী দলের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে জাঁকিয়ে শীত, শুক্রবার বৃষ্টি থেমে কুয়াশা শুরু
বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা। খবর কানে যেতেই মুখ্য়মন্ত্রী বলেছেন, এই বিস্ফোরণের জেরে যাঁদের বাড়িতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে সরকার। এ বিষয়ে মমতা বলেন , কাজ করার সময় যদি কারও সমস্যা হয়ে থাকে, সেটা দেখা সরকারেরই কাজ। আমি বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে এলাকায় যেতে বলেছি। জেলাশাসকেও ওখানে যেতে বলেছি। ক্ষতির পরিমাণ দেখে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে সরকার।
সোনার দামে রেকর্ড পতন কলকাতায়, জেনে নিন দাম কমল কত
কদিন ধরেই নৈহাটির রামঘাটে একের পর এক বাজি ও বারুদ নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিকট শব্দ হয়েছে । এদিন ছাইঘাটেও একই ঘটনা ঘটে। কিন্তু তীব্রতা আরও বেশি হওয়ায় ঘটনায় আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী। স্থানীয় কিছু লোকের বাড়ির অস্থায়ী চালা ভেঙে পড়ে। এক মহিলা জানান, চালা ভেঙে তাঁর ছোট শিশুর ওপর পড়েছে। এছাড়াও এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। যার জেরে ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ইতিমধ্য়েই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। নৈহাটিতে বাজি কারখানার পিছনে আসলে বোমা কারখানার অভিযোগ করেছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।
বৌদির মৃত্য়ুর খবরে আত্মঘাতী যুবক, চাঞ্চল্য ছড়াল আরজি কর হাসপাতালে
যদিও গোটা ঘটনাটিকে তৃণমূলের কারাসাজি বলে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাঁর দাবি, যখনই কোথাও বিস্ফোরণ হয়, তখনই তা পুলিশের কাজ বলে চাপিয়ে দেওয়া হয়। গোটা রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়ে চলেছে, প্রশাসন নীরব। গত ৩ জানুয়ারি নৈহাটির একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। সেই সময় বিস্ফোরণের তীব্রতায় গঙ্গার অন্য পাড়ে চুঁচুড়াতেও কম্পন অনুভূত হয়। উদ্ধার হওয়া বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে ফের সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটল।