আগাম বার্তা দিয়ে না আসার অভিযোগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে জেলা পরিদর্শনের অনুমতি দিল না রাজ্য় সরকার। কলকাতার প্রতিনিধি দল বসে রইলেন বিএসএফের ক্যাম্প অফিসে। এ ব্যাপারে ওই প্রতিনিধি দলের প্রধান তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্র বলেন, কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গকে যে নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল, সেই মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান সরকারকেও পাঠানো হয়েছিল। ওই রাজ্যগুলিতেও কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল গিয়েছে। তাঁরা রাজ্য সরকারের সাহায্য নিয়ে ভালরকম কাজও করছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কেন আটকে দিল বুঝতে পারছেন না তিনি।
গাড়ি ঘুরিয়ে বিএসএফ ক্যাম্পে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, রাজ্য়ের থেকে মিলছে কি অনুমতি..
সোমবারই রাজ্য়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্য়েই কেন্দ্র-রাজ্য় সংঘাত লেগে যায়। কেন লকডাউনে রাজ্য়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠাল সরকার তা নিয়ে প্রশ্ন তোলন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত বলে পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। যে পদ্ধতিতে রাজ্য়ে এই টিম পাঠানো হয়েছে নবান্নে তার সমালোচনা করেন খোদ মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহা।
এই মুহূর্তে কলকাতার সেরা ১০ খবর,যা আপনাকে ভাবাবেই..
এদিন বিকেলেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,তাঁর সঙ্গে ফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দল আসা নিয়ে দুপুর ১টায় কথা হয় অমিত শাহের সঙ্গে। কিন্তু কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে চলে আসে সকাল ১০.১০ মিনিটে। কেন্দ্রীয় দল আসার মাত্র ৩০ মিনিট আগে মুখ্যসচিবের কাছে কেন্দ্রীয় দল আসা নিয়ে চিঠি আসে। আগে না জানিয়ে দল পাঠানো প্রতিষ্ঠিত রীতি বিরোধী।
#WATCH Apurva Chandra, Inter-Ministerial Central Team (IMCT) leader, after being blocked by West Bengal Govt from entering #COVID19 risk zones for assessment. pic.twitter.com/ijkQ3U5J55
— ANI (@ANI) April 21, 2020
একই কথা শোনা যায় নবান্নে রাজীব সিনহার মুখে। মুখ্য়সচিব বলেন, আমার তো মনে হচ্ছে ওঁরা (আন্তঃমন্ত্রক দলের সদস্যরা) এখানে আসার পর আমাদের জানানো হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া-সহ বাংলার সাতটি জেলার পরিস্থিতিকে স্পর্শকাতর বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই ওই জেলাগুলির পরিস্থিতি দেখতে আন্তঃমন্ত্রক দল পাঠিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে এ কথা জানিয়ে দেয় দিল্লি। ওই চিঠিতেই তারিখের স্থানে ১৯ এপ্রিল লেখা রয়েছে। কিন্ত রাজীব সিনহার দাবি, নবান্নে যখন সেই চিঠি এসেছে তখনই তাঁরা জানতে পারেন, দিল্লি থেকে প্রতিনিধি দল রওনা হয়ে গিয়েছে।
কেন্দ্রের পাঠান চাল ঠিকমত বিলি হচ্ছে না রাজ্যে, এই অভিযোগে কী বললেন রাজ্যপাল শুনেনিন.
যদিও গতকালই এই নিয়ে বার্তা দিয়েছেন মুখ্য়সচিব রাজাীব সিনহা। নবান্নে মুখ্য সচিব বলেন, ওই প্রতিনিধি দল কলকাতায় পৌঁছনোর কিছুক্ষণ আগেই মাত্র তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশের কথা জানতে পারেন। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্র বলেন, কলকাতায় পৌঁছনোর পর থেকে বার বার মুখ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। নবান্ন, নাইসেডের বাইরে কোথায়ও যেতে পারিনি। এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের জেলা পরিদর্শনে যেতে দেওয়া হবে না।