করোনার আতঙ্কের মাঝেই কোটি টাকার বাজি বিক্রি করে খুশি বিক্রেতারা। প্রসঙ্গত, করোনা রুখতে লডকডাউনে মনোবল বৃদ্ধিতে দেশবাসীকে সম্মিলিত করতে এক বিশেষ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৫ এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার গোটা দেশবাসীর কাছ থেকে ৯ মিনিট চেয়ে নিয়েছিলেন। রাত ৯টায় ঠিক ৯ মিনিটের জন্য ঘরের সমস্ত আলো নিভিয়ে নিজের বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে এসে প্রদীপ, মোমবাতি অথবা টর্চের আলো জ্বালানোর নিদান দিয়েছিলেন। কিন্তু এরই সঙ্গে আমজনতা তুমুল বাজি পোড়ানোও শুরু করে। যদিও লকডাউনের মধ্যে বাজি পোড়ানোয় কিছুটা হলেও আয়ের মুখ দেখে খুশি বাজি বিক্রেতারা।
শহরে দেদার শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ, মোট ৯৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
বাজি বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা বাবলা বাবু জানিয়েছেন যে, 'আলো জ্বেলে নয় আতস বাজিতে জীবাণু মারা সম্ভব।' মন্দার বাজারে আতস বাজি বিক্রি করতে পেরে অনেকটাই লাভ করতে পেরেছেন রাজ্যের বাজি বিক্রেতারা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে,লকডাউনে বাজি বিক্রেতারা বসলেন কোথায়। এই বিষয়ে বাবলা বাবু আরও বলেন যে, 'লোকেরা আগাম প্ল্যান কষেছিল। এলাকার চেনা আতসবাজি ব্যবসায়ীদের বলে ঘরে বসেই বাজির অর্ডার দেওয়া হয়।' তবে শহর কলকাতার তুলনায় শহরতলিতেই বেশি বাজি পুড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাবলা বাবু আরও জানিয়েছেন, 'মাত্র ৯-১০ মিনিটে গোটা রাজ্যে ৬ কোটি টাকার বাজি পুড়েছে।'
আরও পড়ুন, ফের করোনা উপসর্গের রোগী জেনারেল ওয়ার্ডে, আক্রান্তের মৃত্যুতে কোয়ারেন্টাইনে এনআরএস-র ৫৮ জন
অপরদিকে বাজির শব্দ আর ধোঁয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের বক্তব্য, লকডাউনে শহরের দূষণ অনেকটাই কমেছিল। কিন্তু বাজি পোড়ানোর ফলে দূষণ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। পরিবেশকর্মী এস এম ঘোষ বলেন, 'যে কোনও জিনিস পোড়ালেই দূষণ হবে। তবে ভালো এটা মাত্র ১০ মিনিট ছিল।' উল্লেখ্য, 'হু' অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা-এর নিয়ম অনুযায়ী বাতাসে শ্বাসযোগ্য সূক্ষ্ম ধূলিকণা ২৫ মাইক্রনের বেশি হওয়া উচিৎ নয়। সেটাই রবিবার রাতে ৬ গুণ বেড়ে গিয়েছিল। উল্লেখ্য়, কলকাতায় শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগে মোট ৯৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত এবার এক নার্স, পরিবারকে কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের
পাঁচিল টপকালেই ভাইরাস এক্সপার্ট সেন্টার, তবুও মুখ ফিরিয়ে মেডিক্য়াল কলেজ