রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়কে খুনের হুমকি চিঠি কাণ্ডে অপরাধী পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। এই ঘটনায় এক চিকিৎসক সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল হেয়ার স্ট্রিট থানা।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ( Chief Advisor of WB Govt) মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়কে খুনের হুমকি চিঠি কাণ্ডে অপরাধী পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। এই ঘটনায় এক চিকিৎসক সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল হেয়ার স্ট্রিট থানা (Hare Street Police Station)। ধৃতদের মঙ্গলবারই আদালতে (Court)তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়কে খুনের হুমকি চিঠি পাঠানোর অভিযোগে চিকিৎসক অরিন্দম সেন নামে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবং ওই হুমকি চিঠি টাইপ করায় বিজয় কুমার কয়াল নামের এক টাইপিস্ট এবং চিকিৎসক অরিন্দম সেনের গাড়ি চালক রমেশ সাউকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মঙ্গলবারই আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার সকালে রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের বিজন সেতুর সামনে থেকে প্রথমে টাইপিস্ট বিজয় কুমার কয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করেই মূল অপরাধীর নাম প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, রামমোহন রায় সরণির বাসিন্দা চিকিৎসক অরিন্দম সেন তাঁকে এই চিঠি টাইপ করতে পাঠিয়েছিলেন। এরপরেই কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করেই ঘটনায় জড়িত চিকিৎসকের গাড়ি চালককেও গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন, Weather Report: নিম্নচাপের আশঙ্কা বঙ্গোপসাগরে, জাঁকিয়ে শীত কবে পড়বে কলকাতায়
প্রসঙ্গত, অক্টোবারের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে স্পিড পোস্টে খুনের হুমকি লেখা চিঠি পাঠানো হয় তার স্ত্রীর কাছে। উল্লেখ্য, আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়ের স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্য়োপাধ্যায় পেশায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য । খুনের দেওয়া ওই চিঠি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় পাঠানো হয়। চিঠিতে লেখা ছিল, আপনার স্বামীকে খুন করা হবে। কেউ আপনার স্বামীর জীবন বাঁচাতে পারবে না। চিঠিতে গৌর হরি নামে এক ব্যক্তির স্বাক্ষরও রয়েছে। কেয়ার অব মহুয়া ঘোষ। যিনি রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের ক্য়ামিক্যাল টেকনোলজি বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। চিঠি পাওয়ার পরেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্দ্য়োপাধ্যায় পরিবার। এই ঘটনায় নড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। চিঠির কপি নিয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তবে চিঠির প্রেরকের নাম ভুঁয়ো বলেই অনুমান করেছিল গোয়েন্দারা। এবং সেই অনুমানই সত্যি হয়েছে।জেরায় ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে আক্রোশের জেরে তিনি চিঠি পাঠিয়ে থাকতেন। তবে কেন গৌর হরি মিশ্রের নাম চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, এর উত্তরে তিন জানিয়েছেন, অপদস্ত করতেই এই পদক্ষেপ। অনেকক্ষেত্রে তিনি নাকি সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে প্রভাবিত হয়েই চিঠি লিখতেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে