দীপাবলিতে ৩০০ পথশিশুকে পেট ভর্তি খাবার-খেলনা উপহার, উদ্য়োগে 'শিয়ালদা মেন বেঞ্চ'

 

  •  পথশিশুকে উপহার দেবে এসএমবি  
  • ভর পেট থাকছে কেক-মিষ্টি -ফ্রুটি
  • তারপরে মনভরে ব্যাটবল,রান্নাবাটি 
  • উল্লেখ্য, গতবার উপহারে ছিল বাজি 

Ritam Talukder | Published : Nov 14, 2020 11:21 AM IST / Updated: Nov 14 2020, 04:53 PM IST

'বাজি ছাড়াই দীপাবলি আনন্দে যাক ভরে,অন্যরকম আলো দিলাম তোমার খেলা ঘরে'। এই স্লোগানেই-মনে প্রাণে, পথশিশুদের কাছে ডেকে নেবে  এসএমবি অর্থাৎ 'শিয়ালদা মেন বেঞ্চ'।  শিশু দিবসে শহরের ৩০০ পথশিশুকে ভালবেসে উপহার তুলে দেবে এসএমবি। 

আৎও পড়ুন, ১০ বছরের শিশুরও প্রবেশে ছাড় আলিপুর চিড়িয়াখানায়, শীতের আমেজে ঘুরে আসুন স্বপরিবারে


ওরা 'পথ শিশু'

প্রসঙ্গত, ওদেরও কান্না পায়, তবে এসি ঘরে নয়। তাই হয়তো চোখে পড়েও পড়ে না। ভেজা চোখে ধুলো জমে। দুঃখ্য মোটেই মোবাইল ভেঙে যাওয়া বা ক্যাডবেরি কিনে দিল না কেন, এসব নিয়ে নয়। এ যন্ত্রনা বাঁচার ও অধিকারের। ভূলেও সারাদিকে কেউ যদি একবার ওদেরকে ভালবেসে চেয়ে দেখে, তাতেই পাহাড় গলে যায়। রাস্তা পার করিয়ে দেয় । পড়ে যাওয়া পার্স তুলে দেয় অনায়াসে। ওরা আর কেউ নয়, 'ওরা কাজ করে'। পেটের জ্বালায়, জন্মের প্রথম কয়েক বছরের মধ্যেই। ওরা 'পথ শিশু'। 

আরও পড়ুন, শিশুরাই করোনার সুপার স্প্রেডার, স্কুল খোলার আগে চরম আশঙ্কা প্রকাশ করল ICMR

 

 

উপহারে ভর পেট থাকছে কেক-মিষ্টি -ফ্রুটি

দীপাবলিতে  শহরের সেই ৩০০ 'পথশিশু'কে কেক-মিষ্টি -ফ্রুটির সঙ্গে উপহার তুলে দেবে 'শিয়ালদা মেন বেঞ্চ'। এরই সঙ্গে আরও থাকবে খেলনা, ব্যাটবল,রান্নাবাটি,ফুটবল পুতুল। এসএমবি-র সাধারণ সম্পাদক স্বরুপ দে জানালেন, গত বছরগুলিতে মিষ্টির সঙ্গে বাজিও তুলে দেওয়া হতো শিশুদের হাতে, কিন্তু এই বছরটা আলাদা। । করোনা পরিস্থতির মাঝে হাইকোর্ট এবছর বাজি নিষিদ্ধ করেছে। তাই সেই নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে এবং জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে আমাদের এই অভিনব প্রয়াস'। 

আরও পড়ুন, সল্টলেকের বৃদ্ধাশ্রমে প্রবীণ আবাসিকদের দিলেন সম্মান, প্রাতরাশও সারলেন পুলিশ কমিশনার

 

 

পথশিশুদের আসল পরিচয়

তাঁদের এই পুরো এই অনুষ্ঠানটা যে শহর তথা বাংলার বুকে আশার আলো ভরিয়ে দেবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে বিগত বছরগুলির মতো 'এসএমবি' আরও একবার এগিয়ে এসে সোশ্য়ালট্যাবু ভেঙে মনে করাল একটাই কথা পথশিশুদের আসল পরিচয় কিন্তু ওরা 'শিশু' এবং দেশের 'আগামী'। তাই সেই আগামীকে সামনে রেখে 'শিয়ালদা মেন বেঞ্চ'-র পথ চলা হোক  এক আলোকবর্ষ।

 

Share this article
click me!