বালিগঞ্জ অপহরণ কাণ্ডে গ্রেফতার ছয়, অপহৃতের বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ

  • বালিগঞ্জের ব্যবসায়ী অপহরণ রহস্যের সমাধান করল পুলিশ 
  • ইতিমধ্য়েই  ওই অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়েছে
  • পাশাপাশি ওই ৬ জন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ
  • ধৃতরা জানিয়েছে, চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল ওই ব্যবসায়ী

Ritam Talukder | Published : Nov 17, 2019 9:05 AM IST / Updated: Nov 17 2019, 05:55 PM IST

বালিগঞ্জের সানি পার্ক এলাকায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ রহস্যের সমাধান করল পুলিশ। ইতিমধ্য়েই  ওই অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ৬ জন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। তবে পুলিশি জেরায় ধৃতরা উল্টে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছে। তাই এই ঘটনা এই মুহূর্তে নতুন মোড় নিয়েছে।

 প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে একটু দূরে একটি চায়ের দোকানে ওই ব্যবসায়ী  চা খাচ্ছিলেন। কাছাকাছি দাঁড়িয়েছিল সাদা রঙের একটি স্করপিও গাড়ি। অপহরনকারীদের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ী বচসা বাঁধে। আর তারপরেই  তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে তোলা হয় ওই গাড়িতে। মুহূর্তেই গতি বাড়িয়ে গাড়িটি এলাকা ছাড়ে। ঘটনাটি দেখে প্রত্য়ক্ষদর্শী গাড়িটির ছবি তুলে রাখেন। তিনি লালবাজারের কন্ট্রোলরুমে ফোন করে বিষয়টি জানান। আর এই তথ্য পেয়েই তৎক্ষণাত তদন্তে নামে লালবাজার। সম্প্রতি গত কদিন ধরেই শহরে বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে এসেছে একের পর এক অপরাধের অভিযোগ। তাই দুষ্কৃতীদের ধরতে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ।  ভোররাতেই ধৃতরা ধরা পড়ে।

আরও পড়ুন, খাস কলকাতাতেই প্রকাশ্যে অপহরণ, পুলিশের নজরে সাদা স্করপিও

প্রত্য়ক্ষদর্শীর থেকে পাওয়া, গাড়ির নম্বর পুলিশের কাছে ছিল। আর সেটি ট্র্যাক করেই অপহরণকারীদের সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ওই অপহৃত ব্যবসায়ীকে। সেই সঙ্গে ওই অপহরনকারীদের  গাড়িটিও সন্ধান পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকেই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম, জিতেন্দ্র প্রসাদ (২৭), সোনপাল সিং সিসোদিয়া (১৮), সতীন্দ্র সিং (২০), মুন্না সিং (৪৫), চন্দন কুমার পোদ্দার (২৮) এবং প্রদীপ সিং (৩৫)।  ধৃতদের মধ্যে  সোনপাল ও সতীন্দ্র আগ্রার বাসিন্দা। জিতেন্দ্র ও মুন্না বরানগরের বাসিন্দা। প্রদীপ হাওড়া এবং চন্দন রিষড়ার বাসিন্দা। 

আরও পড়ুন, পঞ্চসায়র গণধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার ট্যাক্সি চালক, সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

 ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে, সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন  দেখিয়েছিল ওই ব্যবসায়ী। তাদের বক্তব্য়,  ধৃতদের থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল। প্রতারণার শিকার হয়েছে তারা। এমনকী  চাকরির দেবার কথা বলে লখনউয়ে গিয়ে, প্রি-মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয় ওই ছজনকে। কিন্তু তারপরে আর চাকরি হয়নি। ধৃতরা পুলিশি জেরায় জানায়, প্রতারণার শিকার হয়ছে বুঝতে পেরেই অপহরণের প্ল্য়ান করে ওই  ছজন। ইতিমধ্য়েই ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে , ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধৃতদের আনা অভিযোগের ভিত্তিতেও মামলা দায়ের করা হবে।
 

Share this article
click me!