করোনা মোকাবিলায় আগেভাগেই প্রস্তুত থাকছে রাজ্য় সরকার। হাসপাতালে বেডের অভাব হলে বিয়েবাড়ি, কমিউনিটি হল এমনকী স্টেডিয়ামকেও বানানো হতে পারে অস্থায়ী কোয়রান্টিন সেন্টার। মঙ্গলবারই এই ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এবার করোনা যুদ্ধে মুখ্য়মন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ জানিয়েছেন, দিদি বললেই ইডেন গার্ডেন্সের দরজা খুলে দেবেন তিনি। ইডেনের একাংশে প্লেয়াার্স ডরমেটরিতে করা যাবে কোয়রান্টিনের ব্য়বস্থা।
করোনার আশঙ্কায় আগাম বন্দোবস্ত, বিয়েবাড়ি,স্টেডিয়াম নেওয়ার নির্দেশ মমতার.
রাজ্য়ে নিত্যদিন বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বেগতিক দেখে আগেই হাসপাতালে আলাদা করে বেডের ব্য়বস্থা করেছে রাজ্য় সরকার। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্য়ান বলছে, আরও দুজনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য়ে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৯। যার মদ্য়ে দমদমের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য শহরের বিয়েবাড়ি, কমিউনিটি হল, স্টেডিয়ামগুলি নেওয়ার পরিকল্পনা করছে রাজ্য়।
করোনায় 'ভাত জুটছে না', টাকা দেবে মমতার সরকার.
যা নিয়ে নিয়ে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক জানিয়েছেন,সরকার চাইলে ইডেন গার্ডেন্স দিতে আমরা প্রস্তুত। বিশ্ব ক্রিকেটের দিকে তাকালে দেখা যাবে, করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্য়েই ফান্ড তোলা শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা বোর্ড। প্রয়োজনে বিসিসিআইও এই ধরনের উদ্য়োগ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন সৌরভ। তিনি জানান, এ বিষয়ে বোর্ডের সচিব জয় শাহের সঙ্গে কথা বলেই নিশ্চিত কিছু বলতে পারবেন তিনি।
'১০ কোটি রাজ্য়বাসীর জন্য' ৪০টা করোনা কিট, খোদ হতাশা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী.
তবে শুধু ইডেন দেওয়ার মতো সদর্থক কথা বলেই থেমে থাকেননি বাংলার মহারাজ। ভিডিয়ো বার্তায় লকডাউনে সবাইকে বাড়িতে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবারই সারা দেশে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বার বার প্রধানমন্ত্রীর মুখে ফুটে উঠেছে এক বার্তা, দেশের স্বার্থে ঘরে থাকুন। জুড়ে নয়, দূরে থাকুন। কিন্তু কলকাতায় দেখা যাচ্ছে এখনও করোনা নিয়ে সচেতন হচ্ছে জনতা। লকডাউন ভেঙে বাজারে হেঁটে বেড়াচ্ছে বিপুল জনতা।
এদিকে রাজ্য়ে করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বেলেঘাটা আইডি-তে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১০০টি অতিরিক্তি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ হবে না বলে আশঙ্কা করছেন মুখ্য়মন্ত্রী। সেকারণে কদিন আগেই বেলেঘাটার আশপাশের নার্সিংহোমগুলিকে আইসোলেশনের জন্য় তৈরি থাকতে বলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার টাকা দেবে বলেও আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।