কলকাতায় চালু হল মেট্রো পরিষেবা। তবে সাধারণ যাত্রীরা উঠতে পারবেন না এই মেট্রোয়। বুধবার থেকে শহরে ৬ জোড়া অর্থাৎ মোট ১২টি ট্রেন চলবে। এক ঘন্টা অন্তর করে মেট্রো চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে মেট্রোর সংখ্যা পরে বাড়ানো হবে বলে আশ্বাস মিলেছে।
এদিকে, সব যাত্রীরা এই স্পেশাল মেট্রোতে চড়তে পারবেন না। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা চড়তে পারবেন স্পেশাল মেট্রোতে। চড়তে পারবেন রেলের কর্মীরা। তবে আরও বেশি সংখ্যক মেট্রো পরিষেবা পাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন যাত্রীরা।
তাদের বক্তব্য মেট্রো ষ্টেশনে আসার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেভাবে অটো বা অন্যকিছু পাওয়া যাচ্ছে না। যাওয়ার সময় মেট্রো পাওয়া গেলেও, ফেরার সময় না থাকায় সমস্যায় পড়বেন তারা। তবে মেট্রো ষ্টেশনে ঢোকার আগে সবাইকেই আই কার্ড দেখাতে হচ্ছে। তবেই তারা মেট্রো ষ্টেশনে ঢুকতে পারছেন। এমনই ছবি দেখা গেল শহিদ ক্ষুদিরাম মেট্রো ষ্টেশনে।
সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়ে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত চালানো হবে মেট্রো বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, ১৪ই জুন সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পয়লা জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন বিধিনিষেধ আরোপ থাকবে বলে জানান। তিনি জানান, কিছু শিথিলতা আনা হবে সেই নিয়মে। বুধবার থেকে সেই নিয়ম জারি শুরু হয়েছে।
মমতা জানিয়ে ছিলেন, এখন থেকে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু থাকবে সরকারি অফিস। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বেসরকারি সংস্থা। ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস খুলতে পারবে বেসরকারি সংস্থাগুলি। আর সকাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক।
বুধবার থেকে কলকাতায় চালু হচ্ছে বাস পরিষেবা, বাসকর্মীদের হাজিরার নির্দেশ
এছাড়া দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হতে পারে। টিকা নেওয়া হলে পার্কে প্রাতঃভ্রমণের জন্য অনুমতি মিলবে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে অটোর যাতায়াতের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত বন্ধ থাকছে লোকাল ট্রেন, মেট্রো ও বাস পরিষেবা। স্টাফ স্পেশাল ট্রেন যেমন চলছিল সেই নিয়মেই চলবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
বেলা ১২ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে রেস্তরাঁ, বার, হোটেল। সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে শপিং মল। তবে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ গ্রাহককে মলে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার, মুদির দোকান ইত্যাদি। এ ছাড়া সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত অন্য দোকান খোলা থাকবে। এর পাশাপাশি শুটিংয়ের ক্ষেত্রেও কয়েকটি ছাড় দেওয়া হয়েছে। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে ইউনিটগুলিকে। তার থেকে বেশি অভিনেতা ও কর্মী নিয়ে শুটিং করা যাবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেস্তরাঁ ও বার খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও আপাতত আগের নিয়মে স্পা ও জিম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাত ৯টার পর জরুরি পরিষেবা ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না।