লক্ষীপূজোর সন্ধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।প্রীতিবছরের মতো এবছরও অধিকারী পরিবারের সদস্যরা শ্রীবন্দনায় মাতবেন সমৃদ্ধির আশায়, কিন্তু এবারের লক্ষীপুজোয় নিমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় থাকছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার .
লক্ষীপূজোর সন্ধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শন্তিকুঞ্জে অর্থাৎ শুভেন্দুর বাড়িতে বহুকাল ধরেই হয়ে আসছে লক্ষীপুজো। শিশির অধিকারীর আমল থেকে তা আরও জাকজমক ভাবে পালন করা হচ্ছে । এবারেও ব্যাঘাত ঘটবে না সেই নিয়মে। অধিকারী পরিবারের সদস্যরা প্রতিবারের মতো এবারেও শ্রীবন্দনায় মাতবেন সমৃদ্ধির আশায়। কিন্তু এবারের লক্ষীপুজোয় নিমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় থাকছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর নিমন্ত্রণ রাখার করতে শান্তিকুঞ্জে খালি হাতে যাচ্ছেন না সুকান্ত। কলকাতার দোকান থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা মায়ের জন্য ধুতি পাঞ্জাবি আর শাড়ী কিনেছেন তিনি।শুধুই কি নিমন্ত্রণরক্ষা ? নাকি এর পিছনে আছে রাজনৈতিক কোনো অভিসন্ধি ?
সুকান্ত মজুমদারের অবশ্য সাফ বক্তব্য যে এইসব কিছু মধ্যে রাজনীতি খোঁজা অর্থহীন। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি অন্য। তারা মনে করছেন যে শিশির অধিকারী আসলে তৃণমূল নাকি বিজেপির তা নিয়ে বহুকাল থেকেই দ্বন্দে আছেন বঙ্গের রাজনৈতিক মহল । শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। এছাড়া বিধানসভা ভোটের আগে অমিত শাহের সভাতেও দেখা গেছিলো শিশির অধিকারীকে। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের শান্তিকুঞ্জে মধ্যাহ্নভোজ, বা মেদিনীপুরে কাজে এলেই দিলীপ ঘোষের একান্ত সাক্ষাৎ শিশির অধিকারীর সঙ্গে- এসব বহুকাল থেকেই জল্পনা বাড়িয়েছে জনসাধারণের মধ্যে। এবার কি তাহলে শিশির অধিকারী তৃণমূলের নাকি বিজেপির তা স্পষ্ট হতে চলেছে ?
তৃণমূল বরাবরই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে শিশিরের ঘনিষ্ঠতাকে ভাল চোখে দেখেনি। লোকসভার স্পিকারের কাছে শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের আবেদনও জানায় তৃণমূল। অন্য দিকে শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে একটু দূরত্ব রেখেই চলছেন শিশির। রাষ্ট্রপতি ভোটে বাকি তৃণমূল সাংসদরা যখন রাজ্যেই ভোট দেন, তখন শিশির এবং দিব্যেন্দু দিল্লি গিয়ে ভোট দিয়ে আসেন। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত ছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। শিশির কিন্তু দলের উল্টো পথে হেঁটে ভোট দিয়েছিলেন। এ বার তাঁর বাড়িতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির আগমন কিসের বার্তা দিচ্ছে ?
সুকান্ত রাজ্য সভাপতি হওয়ার এক বছর পার হলেও এই প্রথম শুভেন্দুর বাড়িতে যাচ্ছেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত এই দুই মুখকে সামনে রেখেই পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের ঘুঁটি সাজাতে চাইছে। বিজেপির সংবিধান অনুসারে রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতার গুরুত্ব প্রায় সমান সমান। দু’দিন আগেই শিশিরবাবুর ছোট ছেলে তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌম্যেন্দু অধিকারীকে একটি মামলায় ১০ ঘণ্টা জেরা করে পুলিশ। সেই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে। তারই মধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় সুকান্ত-শিশির-শুভেন্দু সাক্ষাৎ। লক্ষ্মীপুজোর আবহেও কোজাগরী পূর্ণিমায় নজরে থাকবে শান্তিকুঞ্জ।
আরও পড়ুন চাকরি নেই-তাই লক্ষ্মীও নেই, শুধু ফুল দিয়েই পুজো এসএসসি বিক্ষোভকারীদের
আরও পড়ুন দু'বছর পর আবারও দুর্গাপুজোর বর্ণাঢ্য কার্নিভ্যাল, অংশ নিয়েছিল ৯৪টি পুজো কমিটি