বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে বাংলায় কথা বলার 'অপরাধে' হুমকির মুখে মহিলা সাংবাদিক, প্রতিবাদে বিক্ষোভ বাংলা পক্ষের

রবিবার বাবুঘাটে এক বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থার মহিলা সাংবাদিককে বাংলার বদলে হিন্দিতে কথা বলার জন্য চাপ দিতে থাকে বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতী। জোরাজুরি ধীরে ধীরে হুমকিতে পরিণত হয়। 

Ishanee Dhar | Published : Sep 12, 2022 6:06 PM IST

বাংলায় কথা বলার 'অপরাধে' হেনস্থার মুখে পড়তে হল মহিলা সাংবাদিককে। কলকাতার জাজেস ঘাটে ঘটল এমনই ঘটনা। ১২ তারিখ সোমবার কলকাতার জাজেস ঘাটে দুষ্কৃতীদের হুমকির মুখে পড়তে হয় এক মহিলা সাংবাদিককে। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বাংলা পক্ষ। বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস, কলকাতার জেলা সম্পাদক অরিন্দম চ্যাটার্জী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর ২৪ গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার, উত্তর ২৪ শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহেমদ, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে, নদীয়া জেলার পর্যবেক্ষক আবীর সেন। 

ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আজ বাংলার মাটিতে বাংলা চ্যানেলের বাঙালি নারী সাংবাদিককে বহিরাগতরা হুমকি দিচ্ছে যে বাংলা বলা যাবেনা, হিন্দি বলতে হবে। এই অবস্থার জন্য দায়ী শাসক ও বিরোধী সকল দলের নির্লজ্জ বহিরাগত তোষণ এবং ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি। এইভাবে তারা কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, উত্তর ২৪ পরগনার গঙ্গার দুইপাড় ইউপি - বিহার - রাজস্থানের ক্রিমিনালদের হাতে তুলে দিয়েছে। আর নয়। বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।  আমার মাটি, আমার মা, ইউপি বিহার হবেনা।"
বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি এই প্রসঙ্গে বলেন, "বাংলার মাটিতে, এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। পরিচিত চ্যানেলের মহিলা সাংবাদিককে বাংলায় কথা বলায় এভাবে হেনস্থা করা হয়েছে৷ আগামীতে যাতে কোনও বাঙালি মহিলাকে বা কোনও বাঙালিকে বহিরাগত হেনস্থা করতে না পারে, সেই বিষয় সুনিশ্চিত করবে বাংলা পক্ষ। পুলিশ-প্রশাসন, সরকারের কাছে আবেদন, গঙ্গার দু পাড়ে বাঙালিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন।"

আরও পড়ুন 'ই-নাগেটস' গেমের মাধ্যমে কোটি টাকার প্রতারণা, ইডির তদন্তে ফাঁস হল গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর টাকার উৎস

রবিবার বাবুঘাটে এক বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থার মহিলা সাংবাদিককে বাংলার বদলে হিন্দিতে কথা বলার জন্য চাপ দিতে থাকে বহিরাগত কিছু দুষ্কৃতী। জোরাজুরি ধীরে ধীরে হুমকিতে পরিণত হয়। এমনকি অশালিন ভাষাও ব্যবহার করা হয়। এরপরই গোটা ঘটনার ভিডিও নিজের ফেসবুক প্রফাইল থেকে শেয়ার করেন ওই সাংবাদিক। এরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। 

আরও পড়ুন - গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৫ কোটি টাকা উদ্ধার, খাটের তলা থেকে মিলল নোটের বান্ডিল

Share this article
click me!