গড়িয়াহাট জোড়া খুনের তদন্তে এখনও অধরা আততায়ী। ক্রমশ আরও ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। প্রত্যেকের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। খুনিরা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে আশাবাদী গোয়েন্দারা।
গড়িয়াহাট জোড়া খুনের (Gariahat double murder case) তদন্তে এখনও অধরা আততায়ী ( The Killer)। ক্রমশ আরও ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। প্রত্যেকের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা ( Investigation )করে দেখা হচ্ছে। খুনিরা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে আশাবাদী গোয়েন্দারা (Investigator)।
আরও পড়ুন, Petrol-Diesel Price: উৎসবে লাগতার জ্বালানীর দামে আগুন, কলকাতায় ডিজেল পেরোল ১০৮-র গণ্ডি
১৭ অক্টোবর রবিবার মধ্যরাতে গড়িয়াহাট থানা এলাকার কাকুলিয়া রোডের একটি বাড়ির ভেতর থেকে দুটি দেহ উদ্ধার হয়। একটি কর্পোরেট সংস্থার শীর্ষকর্তা সুবীর চাকী এবং তার গাড়িচালক রবিন মন্ডল এর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। তাঁদের গলায়, পায়ে এবং হাতে ধারালো অস্ত্রের দাগ পাওয়া যায়, যার থেকে অনুমান নিশংসভাবে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এরপর তিন দিন হতে চললেও বুধবার সকাল পর্যন্ত সেই খুনের ঘটনার কোনও কিনারা হল না। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি পুলিশ। গত সোমবার দুপুরেই এই ঘটনার তদন্ত হাতে নিয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা। তারপর থেকে দফায় দফায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ। খুনের সবরকম সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখে, একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত করলেও এখনো পর্যন্ত বিশেষ কোনো সূত্র মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন, 'প্রয়োজনে বাংলাদেশে প্রতিনিধি দল পাঠাবে দিল্লি', হিংসাকাণ্ডে হুঁশিয়ারী নিথীথ-শুভেন্দুর
মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডকে। দেখা যায়, ডগ স্কোয়াডের একটি গোয়েন্দা কুকুর কাকুলিয়া রোডের যে বাড়ি থেকে দেহ মিলেছিল, সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড়াতে শুরু করে সোজা বালিগঞ্জ স্টেশনের দিকে। এরপর বালিগঞ্জ স্টেশনের ঢুকে ১ এবং ১ নম্বর প্লাটফর্মে উঠে কুকুরটি বসে পড়ে। তার কিছুক্ষণ পর সে ফিরে চলে আসে গড়িয়াহাটের ওই ঘটনাস্থলেই। যার থেকে গোয়েন্দাদের অনুমান, খুন করার পর আততায়ীরা ওই পথেই বালিগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছে ট্রেন ধরে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। এছাড়াও সুবীর চাকীর ওই পৈত্রিক বাড়ির আশেপাশের একাধিক সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই বাড়িটি সহ গোটা এলাকার থ্রিডি মডেলিং করেন গোয়েন্দারা। সেই থ্রিডি মডেলিং এর মাধ্যমে লালবাজারে বসেই তদন্তে নজর রাখছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্তারা। কিন্তু এই জোড়া খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও উল্লেখযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজারহাটের একটি অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা সুবীর চাকি তার গড়িয়াহাট এলাকার পৈত্রিক বাড়িটি বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। গত রবিবার কাউকে ওই সম্পত্তিটি দেখাতে যাচ্ছেন বলি বাড়িতে জানিয়ে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। হলে এই খুনের পেছনে কোনো প্রোমোটার বা দালালচক্র থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। তাই ওই এলাকার সমস্ত সম্ভাব্য ক্রেতা এবং দালালদের একটি তালিকা তৈরি করে সন্দেহজনক দের লালবাজারে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, এই খুনের ঘটনার তদন্তে আরো বেগ পেতে হচ্ছে খুন হওয়া সুবীর চাকীর মোবাইল ফোনটি খুঁজে না পাওয়ায়। কারণ ওই দুজনকে খুন করার পর, সুবীর বাবুর মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয় আততায়ীরা। যদিও তার মোবাইলের কল ডিটেলস রেকর্ড বার করে গোয়েন্দারা পরীক্ষা করে দেখছেন, ঘটনার আগে কার কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন তিনি। তাদের মধ্যে কেউ রবিবার রাতে ঘটনাস্থলের সুবির বাবুর কাছে এসেছিল কিনা, তা জানতে প্রত্যেকের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। খুনিরা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে আশাবাদী গোয়েন্দারা।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে