চা চক্রে 'আক্রান্ত' দিলীপ, দমকল মন্ত্রী বললেন স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ

  • লেকটাউনে চা চক্রে 'আক্রান্ত' দিলীপ ঘোষ
  • তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ
  • বিজেপি-তৃণমূল হাতাহাতি প্রকাশ্য়ে
  • সুজিত বসু বললেন, স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ
     

debojyoti AN | Published : Aug 30, 2019 8:12 AM IST / Updated: Aug 30 2019, 01:47 PM IST

সাতসকালে চা চক্রে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠল গো ব্যাক স্লোগান। লেকটাউনে তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ। সব শুনে দমকলমন্ত্রী বললেন, সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ। 

আরও পড়ুন :আক্রান্ত দিলীপ ঘোষ, কাউন্সিলরের উপস্থিতিতেই হামলা চালাল ২৫০ তৃণমূল-কর্মী

আরও পড়ুন :বঙ্গ-সমাজের সর্বস্তরে ফুটছে পদ্মফুল, দিদির কপালে ভাঁজ ফেলে কোটি ছাড়াল বিজেপি

রাজ্য বিজেপির অন্দরমহল বলছে,দিদিকে বলো-র পাল্টা জনসংযোগে 'চায় পে চর্চা' শুরু করেছেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সকালে হাঁটতে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। শুক্রবার সেই কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লেকটাউন এলাকা। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, এদিন লেকটাউনের সাত নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণদাড়িতে একটি চায়ের দোকানে বসেন দিলীপবাবু। এই খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন  স্থানীয় কাউন্সিলর মায়া মাইতি সহ পার্শ্ববর্তী দুটি ওয়ার্ডের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতির কর্মসূচিতে বাধা দেন তাঁরা। এক সময় বচসা ধাক্কাধাক্কির রূপ নেয়। শেষে হাতাহাতি শুরু হয় দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে। যাতে দুজন বিজেপির সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন :'পলিটিক্য়াল টুরিজম' করছেন, দেবশ্রী নিয়ে আপত্তিতে অনড় শোভন

আরও পড়ুন :দ্বিতীয় সোমবারই বন্ধ সরকারি অফিস, ডিএ দিতে না পেরে ছুটিতে কল্পতরু মমতা

বিজেপির অভিযোগ,লেকটাউনে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে তার দিল ছোড়া দূরত্বে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়ি। ওনার ইশারাতেই এই ঘটনা ঘটেছে। পরে অবশ্য পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজেপির এই অভিযোগ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, 'দেখুন এটা একটা পাড়া। এই পাড়ার একটা সংস্কৃতি আছে। সেই পাড়ায় যদি কেউ রাস্তা বন্ধ করে টেবিল পেতে চা খেতে বসেন,তাহলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। সাধারণ মানুষ এর প্রতিবাদ করেছেন। এছাড়াও সারা দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিজেপি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে। অটোমোবাইল ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ লোকের চাকরি চলে যাচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষের এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। এদিন সেই ক্ষোভই প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ।'

Share this article
click me!