সুখেন্দর শেখর রায় বর্তমানে হরিয়ানায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেও রয়েছেন। বুধবারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সুখেন্দু শেখর রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানার তৃণমূল নেতা অশোক তানোয়ার ছাড়াও একাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ।
চব্বিশের আগে খাতায় কলমের বদলে বাস্তবের মাটিতে সর্বভারতীয় তকমা পেতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেকারণেই এবার গোয়া(Goa), ত্রিপুরার(tripura) পর ঘাসফুল শিবিরের নজর গিয়েছে হরিয়ানাতেও। কয়েকদিন আগেই হরিয়ানায় তৃণমূলের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়কে(Rajya Sabha MP Shuvendu Shekhar Roy)। তার হাত ধরেই সে রাজ্যে উদ্বোধন হয়ে গেল প্রথম দলীয় কার্যালয়ের। এদিকে সুখেন্দর শেখর রায় বর্তমানে হরিয়ানায়(Haryana) তৃণমূলের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বেও রয়েছেন। বুধবারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সুখেন্দু শেখর রায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানার তৃণমূল নেতা(Trinamool Leader) অশোক তানোয়ার ছাড়াও একাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ।
সূত্রের খবর, গুরুগাঁওয়ের এই পার্টি অফিসটিই আপাতত রাজ্যে মুখ্য কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এর পর হরিয়ানার বাইশটি জেলাতেই একটি করে জেলা পার্টি অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের তরফে। এদিকে হরিয়ানায় দলের যাত্রার শুভ সূচনার জন্য আগেই শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Trinamool supremo Mamata Banerjee)। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও(All India General Secretary Abhishek Banerjee)। এদিকে হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অশোক তানওয়ারের যথেষ্ট রাজনৈতিক প্রতিপত্তি রয়েছে সেরাজ্যে। আর সেটাকেই তুরুপের তাস বানাতে চাইছে বাংলার শাসক দল।
আরও পড়ুন-আগে রাজ্যের অর্থনীতি ঠিক করুন, তথাগত-রাহুলদের নিশানায় নোবেলজয়ী অভিজিৎ
অন্যদিকে অশোক তানওয়ার তৃণমূল-কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কলকাতায় তাঁকে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও ডাকা হয়। সকলের সঙ্গে পরিচয় করানো হয় সেই সময়। এমনকী কোন আঙ্গিকে হরিয়ানায় তৃণমূল তাদের তাদের রাজনীতি বিস্তার করবে সেই বিষয়েও দীর্ঘ বৈঠক হয়। এমনকী সেই সময় ঠিক হয়ে যায় কবে প্রথম দলীয় কার্যলয় খোলা হতে পারে সে রাজ্যে। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আগেই সুখেন্দু শেখর রায়কে বলতে শোনা যায়, "হরিয়ানা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান অশোক তানোয়ার এবং সেখানকার বাইশটি জেলার শতাধিক নেতার সঙ্গে দিল্লিতে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। তারপরেই আমরা বুধবার দলীয় কার্যালয় খোলার ব্যাপারে একমত হই। বৈঠকে আগামী দিনে দলের একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েও কথা হয়েছে। এমনকী দ্রুত রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই দলীয় কার্যালয় খোলার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।”
আরও পড়ুন-যোগী গড়ে পদ্ম বাঁচাতে আসরে খোদ মোদী, ভোটের মুখে উদ্বোধন সাড়ে ৯ হাজার কোটির প্রকল্পের
সূত্রের খবর, প্রাথমিক সংগঠন বিস্তার প্রক্রিয়ার সময় রাজ্যস্তরে অস্থায়ী কমিটি গঠন করা হবে তৃণমূলের তরফে। এরপর জেলা ও ব্লক স্তরেও সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে এগোবে তারা। এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারেন অশোক তানোয়ার। তার হাত ধরেই অনেক বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসী ও রাজনৈতিক কর্মীরা দলে ভিড়বেন বলে আশাবাদী ঘাসফুল শিবির। আগামীতে সেই আশা কতটা পূরণ হয় এখন সেটাই দেখার।