সংক্ষিপ্ত

আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানেই অভিজিৎ বাবু তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ২০১৯ সালের থেকেও কম। তারঁ এই মন্তব্যের পরেই কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা।

সম্প্রতি গুজরাতের আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের(Ahmedabad University) বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি হাজির হয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়(economist Abhijit Binayak Bandyopadhyay)। আর সেখানেই করা তাঁর একটি মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার রাজনৈতিক তরজা। এদিকে করোনাকালে দেশের বেহাল অবস্থা হোক বা দেশের সামাজিক অবক্ষয়, একাধিক বিষয় নিয়ে সাম্প্রতিককালে বারেবারে মুখে খুলতে দেখা গিয়েছে এই নোবেলজয়ী বাঙালী অর্থনীতিবিদকে। যার জেরে বারেবারে সরকার পক্ষের চক্ষুশূলও হয়েছেন তিনি। এমনকী তার প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভাবমূর্তির জন্য গেরুয়া শিবিরের তোপের মুখেও পড়েছেন একাধিকবার। এদিকে আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানেঅভিজিৎ বাবু তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ২০১৯ সালের থেকেও কম। তারঁ এই মন্তব্যের পরেই কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। একযোগে তোপ দাগতে দেখা গেল তথাগত রায়(tathagata roy), রাহুল সিনহার(Rahul Sinha) মতো বিজেপির(BJP) বর্ষীয়ান নেতাদের।

যদিও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের(Nobel laureate economist) সাফ দাবি, ভয়ানক কষ্টে আছে ভারতের মানুষ। অর্থনীতি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। কোভিড হানা দেয়ার আগে যে পর্যায়ে ছিল, এখন পর্যন্ত সেখানে ফেরা হয়নি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, নিজেদের স্বপ্ন ধীরে ধীরে ছোট করে আনতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গুজরাটের আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভার্চুয়াল সমাবেশে এমনটাই বলেন তিনি। আর এই প্রসঙ্গেই বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের দাবি, "উনি তো পশ্চিমবঙ্গে ১০ দিন কাটিয়েছেন। গোটা দেশে তো উনি ঘোরেননি। দেশ তো পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেকটাই বড়। তাই বাংলার অবস্থাকে দেশের অবস্থা বলে চালাতে চাইলে চলবে কেমন করে।"

আরও পড়ুন-যোগী গড়ে পদ্ম বাঁচাতে আসরে খোদ মোদী, ভোটের মুখে উদ্বোধন সাড়ে ৯ হাজার কোটির প্রকল্পের

অন্যদিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকেও। তাঁর দাবি, উনি তো নিজে পশ্চিবঙ্গের নাগরিক। তাহলে রাজ্যের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা আগে ঠিক করে দেখান না। আসলে নোবেলজয়ীরা কোনও বিষয় নিয়ে রাজনীতি করলে সত্যিই খুব খারাপ লাগে।এদিকে বিজেপি নেতাদের প্রতিক্রিয়ার পরেই তা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। তবে বিজেপি নেতাদেক পাল্টা এখনও কিছু বলতে শোনা যায়নি অভিজিৎ বাবুকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে আমেরিকার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটিতে অধ্যাপনা করেন অভিজিৎ। সম্প্রতি কয়েকদিনের জন্য এসে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারপরেই দেশের অর্থনীতির অবস্থা নিজের পর্যবেক্ষণ প্রকাশ্যে আনেন তিনি। যা বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের মূল মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।