'মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে পারব', রাজ্যসভায় তৃণমূলের মনোনয়ন পাওয়ার পরেই মোদীকে নিশানা করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা জহর সরকার। প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন সিওও পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়েও মুখ খুললেন তিনি।
'মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে পারব', রাজ্যসভায় তৃণমূলের মনোনয়ন পাওয়ার পরেই মোদীকে নিশানা করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা জহর সরকার। প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন সিওও পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়েও মুখ খুললেন তিনি।
আরও পড়ুন, Jawhar Sircar: রাজ্যসভায় প্রাক্তন আমলা জহর সরকারকে মনোনীত করল তৃণমূল
জহর সরকার জানিয়েছেন, 'আমি জানতে পেরেছি তৃণমূল কংগ্রেস আমাকে রাজ্যসভার একমাত্র আসনের জন্য মনোনয়ন দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আর মাত্র দুটি দলেরই বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপি এবং আইএসএফ। আমার ধারণা, ওই দুটি দল আমাকে পছন্দ করে না।' ২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রসার ভারতীর অধিকর্তা পদ থেকে ইস্তফা দেন জহর। এপ্রসঙ্গে তিনি ওই পোস্টে লিখেছেন, নরেন্দ্র মোদীর একনায়কতন্ত্র, হিন্দুত্ব এবং দেশ জুড়ে অর্থনৈতিক অব্যবস্থার কারণেই আমি পাঁচ বছরের মেয়াদ ফুরোনোর আগেই প্রসার ভারতীর অধিকর্তা পদ থেকে ইস্তফা দিই। এরপর থেকে এনডিএ-র বিরুদ্ধে আমি ধারালো এবং বিশ্লেষনমূলক প্রচার ধারাবাহিকভাবে করেছি।' এরপরই তৃণমূলের দেওয়া মনোনয়ন গ্রহন করার কারণ জানিয়ে দেন তিনি। প্রাক্তন আমলা বলেছেন, আমি মনোনয়ন গ্রহন করেছি কারণ, এই সরকারর মানবাধিকার লঙ্ঘন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়তে পারব। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি, বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং করোনার মতো বিষয়গুলি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে পারব।'
আরও পড়ুন, বাংলার 'নির্বাচনে অত্যাচারিত ৩৫ হাজার মহিলা', কী করে 'দেশ চাইছেন', মমতাকে নিশানার রুপার
প্রসঙ্গত,রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়েছে জহর সরকারকে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা তথা প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন সিওও জহর সরকারকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতার দিল্লির সফরের আগেই শনিবার এই বড় সিদ্ধান্ত টুইট করে জানিয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন জহর সরকার। মেধাবী কৃতী ছাত্রের স্কুল জীবনটা কাটে সেন্ট জেভিয়ার্সে। তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। প্রসঙ্গত, আইএএস জহর সরকারের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক আগে থেকেই ভাল ছিল। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কেন্দ্রের চাপ বৃদ্ধির সময়টাতেও ৮৭-র আইএসএস-র ব্যাচের পাশ করা আলাপনের পাশেই দেখা গিয়েছে জহর সরকারকেই। সম্প্রতি রাজ্যসভার উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের প্রাক্তণ সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে নির্বাচনের দিন নির্দিষ্ট হয় ৯ অগস্ট। সেই আসনেই তৃণমূলের মুখ এবার জহর সরকার।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস