'রাজনীতিতে অজাত শত্রু বলে কিছু হয় না' ত্রিপুরা ইস্যুতে বার্তা সুখেন্দুর। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের আগে শনিবারই ত্রিপুরা যাচ্ছেন 'খেলা হবে'-র সৃষ্টিকর্তা দেবাংশু।
'রাজনীতিতে অজাত শত্রু বলে কিছু হয় না' ত্রিপুরা ইস্যুতে বার্তা সুখেন্দুর। 'মিশন ত্রিপুরা'র লক্ষ্য়ে সাজো সাজো রব, খেলা হবে স্লোগান তৃণমূলের। উল্লেখ্য, সোমবারই ত্রিপুরা আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। আর তার আগে শনিবারই ত্রিপুরা যাচ্ছেন 'খেলা হবে'-র সৃষ্টিকর্তা দেবাংশু। মুকুলকে ফেরাতেই ত্রিপুরার ময়দানে নামল তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুন, 'কলকাতা যখন লন্ডন', মমতাকে চরম কটাক্ষ দিলীপের
প্রসঙ্গত, একটা সময় ত্রিপুরায় ঘাসফুল শিবির সামলাতেন মুকুল রায়। তারপর বিজেপি যেতেই ত্রিপুরার তৃণমূল সংগঠন ক্রমে ক্ষীয়মান হতে শুরু করে। এদিকে মুকুল রায় বিজেপিতে যেতেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের অন্যতম নেতা সুদীপ রায় বর্মণও চলে যান বিজেপিতে। সূত্রের খবর, একাধিক বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই সকল বিজেপি বিধায়করা বাংলায় এসে তৃণমূল শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পারেন। তবে 'মিশন ত্রিপুরা' নিয়ে এখন চাপান উতোর তুঙ্গে। এদিকে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের কর্মীদের হোটেলে বন্দি করে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তপ্ত ছিল ত্রিপুরা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার পর এবার তৃণমূলের নজরে রয়েছে ত্রিপুরা। সেখানে নিজেদের জমি মজবুত করতে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে সেখানে 'খেলা' শুরুও হয়ে গিয়েছে। ২৯ জুলাই কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিক সহ কংগ্রেসের প্রায় ৪০ জন নেতা-কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। এখন থেকেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব। এখন থেকেই সেখানে নিজেদের জমি শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, একাধিক রাজ্যে শীঘ্রই সংগঠন বিস্তার করতে চায় জোড়াফুল শিবির। সেই সংগঠন বিস্তারের জন্যে মুকুল রায় কাজ করতে পারেন। অপরদিকে সুদীপ রায় বর্মণের তরফে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতে 'বন্ধুর নাম ত্রিপুরা' বলে একটি সংগঠন করেছেন। তৃণমূল চাইছে এই সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করতে। তবে তৃণমূলের নেতা সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, সর্বত্র ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকে। রাজনীতিতে অজাত শত্রু বলে কিছু হয় না। এখন যারা বিজেপিতে থেকে ত্রিপুরায় তাঁদের বিরোধিতা করছে তাঁরা একটা সময়ে কংগ্রেসে ছিল। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলে চেনা জানার জমি তৈরিই আছি। তাঁদের নিয়ে আলোচনা হতে পারে।'
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস