সাইকেলই শহরের প্রাণ ভোমরা। আরও একবার সেই পথ চোখের সামনে গানের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন উষা উথ্থুপ।
সাইকেলই শহরের প্রাণ ভোমরা। আরও একবার সেই পথ চোখের সামনে গানের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন উষা উথ্থুপ। নিজের শরীর-স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে পরিবেশের উপকার হবে এই সাইকেল চালালে। যা আমরা প্রত্যেকেই জানি, কিন্তু ক্রমশ যেন ভূলে যেতে বসেছি। তাই এবার একধাপ এগিয়ে কলকাতাবাসীকে মনে করিয়ে দিলেন গানের রাণী উষা উথ্থুপ।
আরও পড়ুন, 'গর্বে ভরে উঠল হৃদয়', প্রিয়া মালিকের সোনা জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসলেন মমতা
সম্প্রতি উষা উথ্থুপ 'সাইকেল সং' বলে একটি গান গেয়েছেন। সাইকেল চালানোর উপকারিতা নিয়েও বলা হয়েছে। গানের লিরিকে বলা হয়েছে যে, ফিরিয়ে আনা হোক সাইকেল কলকাতার রাস্তায়। সাইকেল চালালে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সাইকেল চললে জীবন এগিয়ে চলবে। নামী খাবারের সংস্থার ডেলিভারি বয় থেকে শুরু করে কাগজওয়ালা এখনও যে সেই সাইকেলকেই ভরসা করে। তবে শুধু শরীর-স্বাস্থ্যই নয়, বাঁচবে পকেট-পয়সাও, কমবে দূষণ- ভারসাম্য থাকবে পরিবেশেরও গানের মাঝে হেসে বলেন উষা উথ্থুপ। গানটির প্রোডাকশন করেছে সুইচ অন ফাউন্ডডেশন।
উষা উথ্থুপের এই 'সাইকেল সং' শুনলে প্রাণবন্ত কলকাতার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। অনেক বছর আগে এই সাইকেল নিয়েই একটি বইও প্রকাশিত হয়েছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ব্লগে (Bicycle Mayor of Kolkata) যা তুলে ধরেছেন প্রেমি-সচেতক শতঞ্জীব গুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন যে, সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কিত চর্চায় ভারতের শীর্ষ নিয়ামক ও সুপারিশকারী সংস্থা হল ইন্ডিয়ান রেড কংগ্রেস (Indian Road Congress)। ১৯৯৯ সালে ইন্ডিয়ান রেড কংগ্রেস ভারতের শহরগুলোতে সাইকেল লেন কী ভাবে বানানো হবে, কী হবে তার নক্সা বা বিন্যাস,এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে একটি বই প্রকাশ করেছিল। পরে ২০১৫ সালে বের হয় তার পরিমার্জিত সংস্করণ। সাইকেল লেন বিষয়ক সেই বইয়ের ভূমিকায় একটা স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়েছে।
'ভারতের মেগাসিটিগুলোতে সাইকেল ও অন্যান্য অ-মোটরচালিত যানবাহনের সংখ্যা কম নয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই সংখ্যা মোট যান-বাহনের ৪০% থেকে ৫০% । এই যান-জট অধ্যুষিত শহরে বিভিন্ন বয়সের-অর্থনৈতিক অবস্থানের একটা বড় অংশের মানুষের কাছে সাইকেল অপরিহার্যভাবে যাতায়াতের স্বাধীন মাধ্যম। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বাহন বা পরিবেশ-বান্ধব যান হিসেবে নয়, সাইকেল ও অন্যান্য অ-মোটরচালিত যানবাহন সামগ্রিকভাবে শহরের পক্ষে মঙ্গলময়। সাইকেল স্বাস্থ্যকর তো বটেই, সেইসঙ্গে এর ব্যবহার শহরের পরিবহন ব্যবস্থায় সমতা নিয়ে আসতে পারে। বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থানের মানুষের জন্য সমতাপূর্ণ পরিবহনের সম্ভাবনা খুলে দিয়ে দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে পথে সহায়ক হতে পারে।'
শতঞ্জীব গুপ্ত আরও জানিয়েছেন যে,' শহরের রাস্তাঘাট হয়ে উঠতে পারে নিরাপদ। বাতাস হয়ে উঠতে পারে নির্মল, ভবিষ্যৎ-শহর হয়ে উঠতে পারে বাসযোগ্য। ভারতীয় শহরগুলোয় সাইকেল-পরিকাঠামো ও হাঁটা-চলার পরিসর তৈরি করার চাহিদা রয়েছে। প্রয়োজন রয়েছে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে সেগুলিকে আরও সুবিধাজনক ও সম্ভাবনাময় করে তোলার।' ভূমিকার শেষটায় বলা হয়েছে, দূষণের যে ভয়ঙ্কর প্রভাব-অসংখ্য মারণ রোগ থেকে মুক্তি দিয়ে জীবনে চলার পথে একটা সুনির্দিষ্ট সমাধান এনে দেবে এই সাইকেলই। আর সেই সচেতনাকেই আরও একবার উসকে দিল উষা উথ্থুপের 'সাইকেল সং'।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস