কার্যত লকডাউনের বাস না চলায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাস কর্মীরা। মূলত রাজ্যে মার্চ মাসের পর থেকে কোভিড সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ে। মৃত্যু মিছিলে ভরে যায় কলকাতা। ভোটের ফল প্রকাশের পর তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যকে কড়া বিধি নিষেধের আওতায় আনেন। তারপর থেকে ট্রেন -বাস বন্ধ। একদিকে যেমন অফিস যাত্রী ভোগান্তি চরমে, পাশাপাশি রোজগার হারিয়ে গাঢ় অন্ধকারে বাস কর্মীরা।
আরও পড়ুন, 'TMC সেটিং মাস্টার', কৈলাস বিরোধী পোস্টারে একাকার কলকাতা
রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা গুলিতে ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে পারবে। বারাসাতে সেইমতো সকাল থেকেই অফিস মুখো কর্মীরা।কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম দূর্ভোগে বাস কর্মীরা। ঘরে নেই খাবার জন্য চাল ও আলু পর্যন্ত নেই ।এদিন বারাসাত তিতুমির বাস স্ট্যান্ডে ক্যামেরার সামনে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাস কর্মী। তিনি বলেন,' লকডাউন এরপর থেকে নাজেহাল সংসার নিম্নতম খাওয়ার জন্য চাল আলু পর্যন্ত ঘরে নেই।এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সংসার চলবে তা জানা নেই । রাজ্য সরকারের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি তারা করোনা বিধি মেনে যদি আমাদের বাস চালাতে দেয় তাহলে আমরা অন্তত দুমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবো না হলে এভাবে কতদিন বেঁচে থাকবো তা জানা নেই।'
আরও পড়ুন, ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা দক্ষিণবঙ্গে, ফুঁসছে নদী, উদ্ধার কাজে নামল প্রশাসন, দেখুন ছবি
অপরদিকে, পথে বাস না থাকায় পণ্যবাহী গাড়িতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত মানুষের। গত বুধবার থেকে রাজ্যে পুনরায় অফিস খোলার নির্দেশ দিয়েছেন নবান্ন থেকে। ২৫ শতাংশ কর্মচারী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার । বন্ধ রয়েছে বেসরকারি বাস পরিষেবা । সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে পথে পর্যাপ্ত সরকারি বাস থাকার ঘোষণা করে সরকার । কিন্তু কার্যত পথে বেরিয়ে দিশে হারা মানুষ । অফিস পৌছাতে জীবনের ঝুকি নিয়ে পণ্যবাহী গাড়িতে উঠছেন মানুষ । হাওড়া বিভিন্ন জায়গার মানুষ জানিয়েছেন যে তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুটা দূরে আসার পর আর কোন গাড়ি না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই গাড়িতে উঠেছেন । অফিস যাওয়ার জন্য বেরিয়েছেন যদি তারা অফিসে না যান তাহলে সেক্ষেত্রে মাইনা হবে না, ঘর সংসার চালাতে অসুবিধা সম্মুখীন হবেন ।
আরও পড়ুন, ভোটের ২ মাস পরেও মেলেনি দেখা, 'নিখোঁজের বিজ্ঞপ্তি' দিয়ে নিদারুন খোঁচা BJP বিধায়ককে
তাই তারা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করে অফিস পৌঁছে জেতে চাইছেন । বহু সংখ্যায় দেখা গেছে করোনা সংক্রমনের বিধি না মেনে গাড়িতে উঠেছেন বহু মানুষ কোনরকম সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই তারা গাড়ির মধ্যে যাত্রা করতে বাধ্য রয়েছেন করোনা সংক্রমনের চলছে লকডাউন কিছুটা ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণভাবে সবকিছু খোলার নির্দেশ এখনো জারি করা হয়নি যদি এইভাবে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বহু মানুষ যাত্রা করেন তাহলে কি করে করুণা সংক্রমণ কে আটকানো যেতে পারে প্রশাসনকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া দরকার যাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় কারণ এই গাড়িতে যাত্রা করতে গেলে যদি কোন রকম দুর্ঘটনা হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে দায় কে নেবে সেটা উঠছে প্রশ্ন। যাত্রীকে নিয়ে যাচ্ছেন তখন তারা জানান যে রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় যাত্রীরা হাত দিয়ে আটকে দিচ্ছেন তাদেরকে ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা বলছেন কিছুটা দূরে তাঁদেরকে ছেড়ে দিতে।
আরও পড়ুন, 'আমাকে পেটানোর হুমকি দিচ্ছে রত্না', কলকাতা পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ বৈশাখী