রাজ্য়ে প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্য়ু ঘটেছে কলকাতায়। অন্যান্য় করোনা আক্রান্তদের মতো বিদেশ থেকে ভাইরাস নিয়ে আসেননি তিনি। তাহলে কোথা থেকে সংক্রমিত হল তাঁর শরীর। তা নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসকরা।
করোনায় মৃতের দ্রুত সৎকারের নির্দেশ , মরদেহ দেওয়া হবে না পরিবারকে.
জানা গিয়েছে, ৫৫ বছরের দমদমের ওই বাসিন্দার ছেলে আমেরিকায় থাকেন। এরমধ্য়ে বাবার সঙ্গে ছেলের সাক্ষাৎ হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য় দফতর। আক্রান্ত হওয়ার আগে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে ঘুরতে গিয়েছিলেন দমদমের করোনা আক্রান্ত। সস্ত্রীক সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের অনুমান, ট্রেন থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে তাঁর শরীরে। জানা গিয়েছে, আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেসে কলকাতায় ফেরেন আক্রান্ত।
ছেলের করোনা বাবা-মায়ের শরীরে, হা হুতাশ করছে সন্তান
শোনা যাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতালের যে কর্মীরা ওই প্রবীণের চিকিৎসায় যুক্ত ছিলেন এখন তাদের চিহ্ণিত করে আলাদা রাখার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিগত কিছু দিন ধরে ওই প্রবীণ ব্যক্তি যাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরও খোঁজ নিচ্ছে স্বাস্থ্য় দফতর। ইতিমধ্য়েই দমদমের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আক্রান্ত দমদমের বাসিন্দা ৫৫ বছর বয়সী এক মধ্যবয়স্ক। তিনি জ্বর ও শুকনো কাশি নিয়ে চলতি মাসের ১৬ তারিখে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে(AMRI) ভর্তি হন। হাসপাতলে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ১৯ তারিখ তার রিপোর্ট আসে। সেখানে জানা যায়, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।
করোনা রুখতে লকডাউন শহর, আইন ভাঙলে হতে ২ বছরের জেলও.
সোমবার বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান তিনি। এদিন দুপুর থেকেই অবস্থা সংকটজনক ছিল। তিনি কাজ করতেন ফেয়ার্লি প্লেসে। সেখানকার সব কর্মীদের কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হল। পরিবারের হাতে দেওয়া হবে না মৃত্দেহ। তাঁরাও বর্তমানে চিকিৎসাধীন এম আর বাঙুর হাসপাতালে।