সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনের নিয়ম ভাঙলে তা হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ
- জেনে নিন আইন ভাঙলে কোন ধারায় কীকী সাজা হবে
- সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে প্রযোজ্য হবে ১৮৮ ধারা
- কোয়ারেন্টাইনের আইন ভাঙলে প্রযোজ্য হবে ২৭১ ধারা
রাজ্য় তথা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। করোনা মোকাবিলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। নির্দেশিকা জারির পরেই প্রশাসনের জানা হয়েছে যে, লকডাউনের নিয়ম ভাঙা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই আইন ভাঙলে শাস্তি অনিবার্য। সতর্ক থাকতে জেনে নিন আইন ভাঙলে কোন ধারায় কী সাজা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন, শনির প্রকোপ করোনার কারণ, ২৫ মার্চ সাবধান থাকতে বললেন দিলীপ
জানা গিয়েছে আইন অনুযায়ী কেউ যদি জোর করে লকডাউনের নিয়ম ভাঙে সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৮৮, ২৬৯, ২৭০, ২৭১ ধারায় মামলা হবে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে প্রযোজ্য হবে ১৮৮ ধারা। ২৬৯ ধারা সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানোর বিরুদ্ধে প্রযোজ্য় হবে, যা মূলত জামিন অযোগ্য ধারা বলে গণ্য় হবে। ২৭০ নম্বর ধারাও জামিন অযোগ্য এবং জনজীবনে বিপজ্জনক সংক্রমণ ব্যাধি ছড়ানোয় এই ধারা প্রযোজ্য। এতে ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। কোয়ারেন্টাইনের আইন ভাঙলে প্রযোয্য় হবে ২৭১ ধারা।
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত 'বাবু'র দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, হাসপাতালে ফল ভুগছে পরিচারিকার পরিবার
রবিবারই নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে পশ্চিমবঙ্গেও লকডাউনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। সোমবার বিকেল ৫ টা থেকে শুক্রবার ২৭ মার্চ রাত ১২ টা পর্যন্ত জারি থাকবে লকডাউন। পরবর্তী পরিস্থিতিতে কী করা হবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। কার্যত লক ডাউন ঘোষণার পরই রাজ্য সরকারের তরফে সকলকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যতটা সম্ভব অন্যের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বিদেশ থেকে এরাজ্যে এলে, বাসিন্দাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, লকডাউনের নিয়ম ভাঙলে শাস্তি হবে।
করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ
শরীরে কীভাবে থাবা বসায় করোনা, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
আরও পড়ুন, কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস