করোনা যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিল রাজ্য়বাসী। রাত ৯ বাজতেই বন্ধ হয়ে গেল বৈদ্যুতিক লাইট। পরিবর্তে মোদীর কথা মেনে প্রদীপ জ্বালালো রাজ্য়বাসী। কলকাতার একের পর এক বহুতল আলো নিভিয়ে কেউ মোববাতি তো কেউ মোবাইলের আলোয় সমর্থন করেছে প্রধানমন্ত্রীকে।
রাজ্য়ে একদিনে আরও চার করোনা পজিটিভের মৃত্যু.
করোনা প্রতিরোধে সারা বিশ্বকে ঐক্যের বার্তা দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহবানে সাড়া দিয়ে গোটা দেশের সঙ্গে এগিয়ে এলেন উলুবেড়িয়া মহাকুমার মহিলারাও। রবিবার ঘড়ির কাঁটা রাত ন'টা স্পর্শ করতেই একের পর এক বাড়ির বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে ফেলা হয়। সারা শহর এক অদ্ভুত আঁধারে চলে যায়। তখনই নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সকলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন।
করোনা নিয়েও 'রাজনীতি', মোদীর সর্বদলে থাকবে না তৃণমূল !..
কোথাও জ্বালানো হয় মাটির প্রদীপ, আবার কোথাও মোমবাতি। মহিলারা সমবেতভাবে শঙ্খধ্বনি করতে থাকেন। নয় মিনিট ধরে এই প্রদীপ জ্বালানো হয় এবং বাড়িকে বিদ্যুৎহীন করে রাখার পর্ব চলে। কেউ কেউ এই ঘটনাকে অযৌক্তিক এক প্রহসন বলে বর্ণনা করেছেন। আবার কেউ কেউ নয় মিনিটের এই প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা প্রদর্শনের একটা অভিনব পন্থা বলে মন্তব্য করেছেন।
মোদীর ডাকে বাতি জ্বালাচ্ছেন কারা, নজর রাখছে তৃণমূল..
যাঁরা প্রদীপ জ্বালিয়েছেন তাঁরা জানান সারা দেশ আজ এক অদ্ভুত মারণ রোগের শিকার। এই মুহূর্তে রাজনীতি বড় নয়, এখন নিজেদের মধ্যে একতা রক্ষাই সবথেকে বড় প্রয়োজন। একে অপরকে সহযোগিতা করে এই বিপদ থেকে নিজেদের এবং দেশকে রক্ষা করাটাই দেশের মানুষের প্রধান কর্তব্য বলে তাঁরা মনে করেন। "নয় মিনিট বাড়ি বিদ্যুৎহীন থাকলে কিছু যায় আসে না, কিন্তু সেই সময় প্রতিটি বাড়ি যখন দীপের মালায় সেজে উঠেছিল তখন সত্যিই মনে হচ্ছিল করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা কেউ একা নই।" প্রদীপের এই শিখাই হয়তো সত্যি সত্যি দেশ থেকে করোনা ভাইরাসকে বিতাড়িত করবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।