একদিনে রাজ্য়ে করোনা পজিটিভ রোগীর মৃতের সংখ্যা বেড়ে চার। স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে এখনও রোগীদের করোনায় মৃত্যু হয়েছে কিনা তা বলা হয়নি। যদিও জানা গিয়েছে, রাজ্য়ের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এই করোনা পজিটিভদের।
দমকা হাওয়ায় নিভতে পারে ৯টার প্রদীপ, সন্ধের পরে ঝড়ের মুখে কলকাতা...
সূত্রের খবর, মৃত চার করোনা পজিটিভের মধ্য়ে দুজন এনআরএস ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিলেন। বাকি দু’জন ভর্তি ছিলেন সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পঞ্চসায়রের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিডনির সমস্যা নিয়ে শনিবার রাতে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আমহার্স্ট স্ট্রিটের ৪৯ বছর বয়সি ওই মহিলা। তাঁর শরীরেও করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছে।
করোনা নিয়েও 'রাজনীতি', মোদীর সর্বদলে থাকবে না তৃণমূল !.
এখানেই শেষ নয়। রবিবার সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে শেওড়াফুলির এক বাসিন্দার। তাঁর শরীরেও করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছে। কদিন আগেই উত্তরবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে চিকিত্সা চলছিল করোনা পজিটিভ ব্যক্তির। তিনিও উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। প্রথমে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে অবশ্য় তার রিপোর্টে করোনা ধরা পড়ে। শনিবার তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে কুরুচিকর পোস্ট, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্য়ায়ের মেয়ের নামে অভিযোগ বিজেপির
আগে বলা হচ্ছিল করোনা কেবল বয়স্ক ব্য়ক্তিদেরই ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু এনআরএস-এ মাত্র ৩৪ বছরের এক করোনা পজিটিভ যুবকেরও এদিন মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে তাঁর কোনও ভিন রাজ্যে বা ভিন দেশে যাওয়ার নতি নেই। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষার জন্য তাঁকে পাঠানো হয়। পরে রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। ইতিমধ্য়েই অবশ্য় ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তবে তাঁর মৃত্যুকে করোনায় মৃত্যু বলা হবে কিনা তা স্বাস্থ্য় ভবনই বলতে পারবে।
তবে এই পরিসংখ্যানে এখনও সিলমোহর দেয়নি রাজ্য় সরকার। তাদের হিসেবে, বাংলায় করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা এখনও সরকারিভাবে তিন। তবে বেসরকারিভাবে এই চারজনের মৃত্যু ধরলে মৃতের সংখ্যা ১১ হবে।