রইল পাঁচটি স্লোগান, যা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াইয়ে শক্তি জুগিয়েছিল, আজও তা অমর হয়ে আছে

স্বাধীনতা সংগ্রামের আগে বেশ কিছু স্লোগান জনগনকে লড়াইয়ে শক্তি জোগাত। রইল এমনই রইল পাঁচটি স্লোগানের কথা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিস্তর ভূমিকা পালন করে।  যা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াইয়ে শক্তি জুগিয়েছিল, যা আজও অমর হয়ে আছে। দেখে নিন এক ঝলকে। 

Sayanita Chakraborty | Published : Aug 15, 2022 4:29 AM IST

বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মবলিদানে স্বাধীন হয়েছিল আমাদের ভারতবর্ষ। প্রায় ২০০ বছর ইরেজদের অধীনে থাকার পর ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা পায় ভারত। আজ সেই বিশেষ দিন। সে সময় মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, ভগত সিং, চন্দ্র শেখর আজাদ, সুভাষ চন্দ্র বসু সহ আরও অনেক নেতা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁদের ত্যাগ ও লড়াই স্বাধীন করেছিল ভারত মাতাকে। এই দিনটি আমাদের মুক্তি যোদ্ধাদের, দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামগ্রিকভাবে জাতির অর্জনকে সম্মান জানায়। সে সময় স্বাধীনতা সংগ্রামের আগে বেশ কিছু স্লোগান জনগনকে লড়াইয়ে শক্তি জোগাত। রইল এমনই রইল পাঁচটি স্লোগানের কথা, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিস্তর ভূমিকা পালন করে।  যা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াইয়ে শক্তি জুগিয়েছিল, যা আজও অমর হয়ে আছে। দেখে নিন এক ঝলকে। 

ইনক্লাব জিন্দাবাদ বা ইনকিলাব জিন্দাবাদ- এই স্লোগানটি মূলত ১৯২১ সালে একজন ইসলামী পন্ডিত, উর্দু কবি, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা মাওলানা হাসরাত মোহানি তৈরি করেছিলেন। কিন্তু, এই স্লোগানটি শহীদ ভগৎ সিং-এর নেতৃত্বে জনপ্রিয়তা পায়। 

সরফারোশি কি তামন্না আব হামারে দিল মে হ্যায়- রাম প্রসাদ বিসমিল এই কবিতাটি রচনা করেন। এটি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।  

স্বরাজ হামারা জন্মসিদ্ধ অধিকার হ্যাঁয়- বাল গঙ্গাধর তিলক বলেছিলেন, স্বরাজ হামারা জন্মসিদ্ধ অধিকার হ্যায় অর ম্যায় ইসে লেকর হি রাহুঙ্গা। এই স্লোগানটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল সে সময়। এটি বাল গঙ্গাধর তিলকের লেখা সব থেকে জনপ্রিয় স্লোগান। এটি ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতীয়দের রক্ষা করতে বিস্তর ভূমিকা পালন করে। 

সারে জাহান সে আচ্ছা, হিন্দুস্তান হামার- এই উর্দু দেশাত্মবোধক কবিতাটি শিশুদের জন্য লিখেছিলেন মোহাম্মদ ইকবাল। প্রতিটি ভারতীয় শিশুর মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইকবাল যখন সরকারী কলেজ লাহোরে জনসমক্ষে এটি আবৃত্তি করেন তখন এটি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে একটি সঙ্গীত হয়ে ওঠে। 

বন্দে মাতরম- এই স্লোগানটি স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৮২ সালে প্রথম এই স্লোগানটি ব্যবহৃত হয়। ১৮৯৬ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটি ব্যবহার করেন। বন্দে মাতরম আমাদের জাতীয় সংগীতের সম্মান পায়। 

আরও পড়ুন- অতিথি আপ্যায়নে থাক রকমারী স্ন্যাক্স , রইল স্বাধীনতা দিবস স্পেশ্যাল মেনুর হদিশ

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবসের দিন কলকাতায় সোনা -রূপোর দাম বাড়ল না কমল, জানুন লেটেস্ট রেট

আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশেষ ঝলক গুগল ডুডলে, এক ক্লিকে মিলছে সমস্ত খবরাখবর
 

Read more Articles on
Share this article
click me!