স্য়ুপ থেকে ফ্রায়েডরাইস, সর্বত্র দাপিয়ে বেড়ায় বিন। একশো তিরিশেরও বেশিরকম বিন পাওয়া যায়। ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ফলিক অ্য়াসিড ও ফাইবারের দারুণ উৎস হল বিন।
১৫০ গ্রাম বিন থেকে পাওয়া যায় ২৮ ক্য়ালোরি। পাওয়া যায় ০.৫৫ গ্রাম ফ্য়াট, ৫.৬৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.৬ গ্রাম ফাইবার, ১.৯৪ গ্রাম সুগার, ১.৪২ গ্রাম প্রোটিন, ১৭ মিলিগ্রাম ক্য়ালশিয়াম, ১.২ মিলিগ্রাম আয়রন, ১৮ মিলিগ্রাম ম্য়াগনেশিয়াম, ৩০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১৩০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২৪ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ, ৫২.৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-কে, ৩২ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট। এছাড়াও থাকে থিয়ামিন, রাইবোফ্লেভিন ইত্য়াদি।
এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোফিল। যখন আমরা মাংস গ্রিল করে খাই, বা যেকোনও গ্রিল ফুড খাই, তার একটা কারসিনোজেনিক এফেক্ট থাকে। এই এফেক্টকে রোধ করতে পারে বিনে থাকা ক্লোরোফিল। ডিপ্রেশন কমাতে ফোলেটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। বিনে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে ফোলেট।
সেরাটোনিন, ডোপামিনের মতো ফিলগুড হরমোনগুলোর উৎপাদনে ভালো কাজ করে বিন। তাই বিন খেলে মন ভাল থাকে। ডিপ্রেশনও কমে। ভিটামিন-কে হাড়ের স্বাস্থ্য়রক্ষায় খুব ভালো কাজ করে। এককাপ বিনে থাকে ১৪.৪ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-কে। ভিটামিন-কে আমাদের দৈনিক যা প্রয়োজন, এককাপ বিন থেকে তার ২০ শতাংই পাওয়া যায়।
গর্ভস্থ ভ্রণের জন্য় অত্য়ন্ত প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফোলিক অ্য়াসিড। এবং সেইসঙ্গে আয়রনও বটে। এককাপ বিন থেকে দৈনিক প্রয়োজনের ১০ শতাংশ ফোলিক অ্য়াসিড ও ৬ শতাংশ আয়রন পাওয়া যায়। অতএব বিন খান নিয়মিত।