Good News : গর্ভাবস্থায় ব্লাড ট্রান্সফিউশন, প্রথমবার কলকাতায় ব্লাড ট্রান্সফিউশনের মাধ্যমে বাঁচান হল নবজাতকে

গর্ভাবস্থায় ব্লাড ট্রান্সফিউশন করে বাঁচান হল বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুকে। এই রোগের ক্ষেত্রে ভ্রুণের সঙ্গে ফ্লুইড (fluid) মিশে শিশুটির রক্তাল্পতা হয়। ফলে মৃত্যু ঘরে শিশুর। দশ হাজার জনের মধ্যে ১ জনের হয় এই রোগে। 

Asianet News Bangla | Published : Oct 27, 2021 9:34 AM IST

ব্লাড ট্রান্সফিউশনের (blood transfusion) মাধ্যমে নবজাতকের জীবন বাঁচাল কলকাতা অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের (Apollo Multispecialty Hospitals) ডাক্তাররা। গর্ভাবস্থায় ব্লাড ট্রান্সফিউশন করে বাঁচান হল শিশুকে। এমনকী গর্ভাবস্থার ৩৫ তম সপ্তাহে সফলভাবে শিশুটিকে প্রসব করানো হয়। আসলে, শিশুটি হাইড্রপের (hydrops) মতো বিরল রোগে আক্রান্ত হয়। গর্ভবস্থায় ২৪তম সপ্তাহে ভ্রুণে এমন বিরল জটিলতা খুঁজে পান চিকিৎসকরা। যা দশ হাজার জনের মধ্যে ১ জনের হয়। এক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের মৃত্যু হয়। এই বিরল রোগের ক্ষেত্রে ভ্রুণের সঙ্গে ফ্লুইড (fluid) মিশে শিশুটির রক্তাল্পতা হয়। ফলে, জন্ম হলেও বেশিদিন বাঁচতে পারে না শিশুটি। সম্প্রতি, এমনই এক রোগীর চিকিৎসা করল অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। যা পূর্ব ভারতে এই প্রথম হল। সেখানে গর্ভাবস্থায় ব্লাড ট্রান্সফিউশন (blood transfusion) ঘটিয়ে বাঁচান হল নবজাতকে। ব্লাড ট্রান্সফিউশনের (blood transfusion) পর ৩৫ সপ্তাহে বাচ্চার প্রসব করান হয়। অপারেশনের সুস্থ আছেন মা ও সন্তান।  

এই চিকিৎসা প্রসঙ্গে অ্যাপোলো মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক মল্লিনাথ মুখার্জী বললেন, এইসব ক্ষেত্রে শিশুটির জীবন বাঁচানোর জন্য ভ্রূণের ব্লাড ট্রান্সফিউশনই (blood transfusion) একমাত্র পথ। এমনকি চিকিৎসার পরেও এই ধরনের শিশুদের বেঁচে থাকার হার অত্যন্ত কম হয়। তাই আমরা ৬টি ব্লাড ট্রান্সফিউশনের পর গর্ভাবস্থার ৩৫তম সপ্তাহে সফলভাবে শিশুটিকে প্রসব করাতে সক্ষম হয়েছি। এই বিশেষ ক্ষেত্রে আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে কৃতজ্ঞ আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখে অনুমতি দেওয়ার জন্য।" 

আরও পড়ুন: Belly Fat- ব্যায়াম ছাড়াই ঝরবে বেলি ফ্যাট, চাবুক ফিগার পেতে রোজকার পাতে রাখুন এই খাবারগুলি

ব্লাড ট্রান্সফিউশনের (blood transfusion) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ডঃ কাঞ্চন মুখার্জী। তিনি বলেলন,  ভ্রূণের মধ্যে ব্লাড ট্রান্সফিউশন অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং জটিল কাজ। তাই এই প্রক্রিয়া চলাকালীন আমাদের শিশুটির এবং মায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হয়েছিল। ছয়টি ট্রান্সফিউশনের মাধ্যমে আমরা শিশুটির হিমোগ্লোবিন মাত্রা ৩ থেকে ১০ পর্যন্ত বাড়াতে পেরেছি এবং সময়মতো প্রসবের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। ডঃ কাঞ্চন মুখার্জীর কথা থেকে স্পষ্ট এই বিরল রোগের চিকিৎসা সফল করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন: চেয়ারে বসেই কমান ওজন, সাহায্য করবে এই সহজ ব্যায়ামগুলো

ডিরেক্টর এবং এইচওডি প্রসূতি ও স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ ডঃ জয়ন্ত কুমার গুপ্ত বলেছেন, পূর্ব ভারতে প্রথমবারের একটি গর্ভস্থ শিশুর ব্লাড ট্রান্সফিউশন হল এবং ভ্রূণের হাইড্রপের মত এই বিরল অবস্থা থেকে শিশুটির জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি। তিনি জানান, এটি জটিল প্রক্রিয়া। এতে যেমন গর্ভস্থ শিশুর ব্লাড ট্রান্সফিউশনে কিছু ঝুঁকি থাকে তেমনই গর্ভে সংক্রমণের ফলে অকাল প্রসব, অত্যাধিক রক্ত সঞ্চালনের ফলে শিশুটির হার্ট ফেইল এমনকি মায়ের মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে।

 

 

Share this article
click me!