
শীতকালে প্রচুর পরিমাণে আমলকী পাওয়া যায় এবং এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, রোগ থেকে বাঁচা যায়, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। তাই বিশেষ করে শীতকালে আমলকী খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায়শই দেখা যায় যে বেশিরভাগ মানুষ শুধু আমলকী খেতে পছন্দ করেন না, তাই অনেকেই এর আচার, মোরব্বা বা জুস তৈরি করে পান করেন। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, আমলকীর মোরব্বা এবং আমলকীর আচারের মধ্যে কোনটি বেশি ভালো, কোনটি খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর, আসুন আজ জেনে নিই।
আমলকীর মোরব্বার উপকারিতা
আমলকীর মোরব্বা খাওয়ার অনেক চমৎকার উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন এটি খেলে রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করা যায়, দুর্বলতা ও ক্লান্তি কমানো যায়। হজমশক্তিকে শক্তিশালী করা যায়। পাশাপাশি, অ্যাসিডিটি এবং পেটের জ্বালাপোড়াতেও আরাম পাওয়া যায়। তবে, আমলকীর মোরব্বাতে চিনি ব্যবহার করা হয়, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না এবং যারা ওজন কমাতে চান, তাদেরও আমলকীর মোরব্বা কম খাওয়া উচিত।
আমলকীর আচারের উপকারিতা
আমলকীর আচার স্বাদ এবং স্বাস্থ্যের দিক থেকেও উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি দুর্বলতা, রক্তাল্পতা, ক্লান্তি এবং পেটের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমলকীর আচারে মৌরি, মেথি, হলুদের মতো জিনিস ব্যবহার করা হয়, যা হজমে সাহায্য করে। আচার তৈরির পরেও এতে ভিটামিন সি-এর গুণাবলী অনেকটাই বজায় থাকে। এটি খেতেও সুস্বাদু এবং আপনি এটি পুরি, পরোটা, ডাল-ভাতের সাথে খেতে পারেন। তবে আমলকীর আচারে তেল ও নুনের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে, তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এটি কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আমলকীর মোরব্বা না আচার, কোনটি বেশি ভালো
স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, আমলকীর আচার মোরব্বার চেয়ে বেশি উপকারী, কারণ এতে ভিটামিন সি এবং পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। আপনি এটি কম তেল এবং কম নুন দিয়েও তৈরি করতে পারেন। অন্যদিকে, আমলকীর মোরব্বা তাদের জন্য উপকারী যারা শরীরে শক্তি যোগাতে চান। আপনি চিনির পরিবর্তে দেশি খণ্ড বা গুড় ব্যবহার করেও এটি তৈরি করতে পারেন।