
Health Tips: আজকের ব্যস্ত জীবনে প্যাকেটজাত খাবার আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। এলাকার বাজারে গিয়ে টাটকা বাজার করে আনার আনার সময় নেই, তাই সুপারমার্কেটে গিয়ে বা অনলাইনেই চাল-ডাল, মশলা, চিপস, বিস্কুট, ফ্রোজেন মাছ-মাংস, হেল্থ ড্রিঙ্ক সবই কিনে নেওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল এই প্যাকেজড খাবারগুলি, বাজার থেকে আনা টাটকা খাবারের মতোই স্বাস্থ্যকর কিনা? না হলেও ঘাটতি কোথায়? কতটাই বা শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে থাকে?
বেশির ভাগ প্যাকেটজাত খাবারে প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিক মিশিয়ে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে, যেগুলি দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে সাধারণ মানুষ ক্ষতিকর রাসায়নিক বিহীন বা ভালো মানের প্যাকেজড খাওয়ার চিনবেন কীভাবে?
১। উপাদান তালিকায় কী কী আছে ?
খাবারের প্যাকেটে উপাদান তালিকায় উপাদানগুলি পরিমাণ অনুযায়ী সাজানো থাকে।
যদি চিনি, ময়দা, হাইড্রোজেনেটেড তেল প্রথমেই লেখা থাকে, তাহলে বুঝবেন এই উপাদানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। আবার চিপস বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাম অয়েল ব্যবহার হলে, সেটিও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এই উপাদানগুলো থাকলে পণ্যটি এড়িয়ে চলাই ভাল।
২। সার্ভিং সাইজ দেখুন
পণ্যের প্যাকেটে অনেক সময় লেখা থাকে “প্রতি সার্ভিংয়ে ৫০ ক্যালোরি।” কিন্তু এক প্যাকেটে যদি ৪টি সার্ভিং থাকে, তাহলে মোট ক্যালোরি দাঁড়ায় ২০০। একটু ভেবে দেখলেই বুঝতে পারবেন আপনি কতটা ক্যালরি গ্রহণ করছেন।
“লো ফ্যাট”, “অর্গ্যানিক”, “ন্যাচারাল” -এই শব্দগুলো সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবারের ইঙ্গিত দেয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলি কেবল বিজ্ঞাপনের কৌশল মাত্র। তাই উপাদান তালিকা না দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়।
৩। ‘নো সুগার অ্যাডেড’ -এ বিভ্রান্ত হবেন না
বহু খাবারের প্যাকেটে লেখা থাকে “No Added Sugar”, অথচ ভিতরে থাকে স্টেভিয়া, সুক্রালোজ, এসপারটেম, ইত্যাদি জাতীয় কৃত্রিম মিষ্টি।ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এগুলিও বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এতে গ্লুকোজ মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এই উপাদানগুলো উচ্চ রক্তচাপ, ওজন বৃদ্ধি বা বিপাকে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৪। INS বা E কোড দেখে সতর্ক হন
খাবারের প্যাকেটে INS নম্বর (International Numbering System) বা E কোড দেখলে সতর্কত হন। এটি কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে তার ইঙ্গিত দেয়।
INS নম্বর অনুযায়ী উপস্থিত রাসায়নিক উপাদান থেকে সম্ভাব্য ক্ষতি-
* INS 211 সোডিয়াম বেঞ্জোয়েট স্থূলতা, শিশুদের জন্য বিপজ্জনক
* INS 250 সোডিয়াম নাইট্রাইট স্নায়বিক সমস্যা, ক্যানসার
* INS 220 সালফার ডাই-অক্সাইড শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সমস্যা, অ্যালার্জি
* INS 102 টারট্রাজিন (কৃত্রিম রং) লিভার, কিডনি সমস্যা, অ্যালার্জি
* INS 471, 433, 466 স্টেবিলাইজ়ার ও থিকনার মূলত ফ্রোজেন ডেজ়ার্টে, হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়
বিজ্ঞাপন দেখে নয়, প্যাকেজ্ড খাবারের বাইরের উপাদান তালিকা ও লেবেল দেখে কিনুন। একটু খেয়াল করলেই বোঝা সম্ভব কোন খাবার আপনার শরীরের জন্য ভালো, আর কোনটি আসলে বিষ আপনার শরীরের জন্য।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।