
শরীরের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ফাইবার একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং বিভিন্ন হজমের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শুধুমাত্র অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, শক্তিশালী ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণাবলীও রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে উচ্চ ফাইবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নীচে কিছু আঁশযুক্ত খাবারের কথা বলা হল, যা আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। মেনে চলুন বিশেষ টিপস। আজ রইল খাবারের হদিশ। এই সকল খাবার খেলে আপনার শরীর থাকবে সুস্থ। সঙ্গে হার্ট থাকবে সুস্থ। তেমনই ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে বাঁচতে পারবেনষ
ওটস
ওটসে বিটা-গ্লুক্যান নামক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। জলখাবারে খেতে পারেন ওটস। এটি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। তেমনই রাতেও ওটস খেতে পারেন। ওটস দিয়ে তৈরি একাধিক পদ বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে।
শিম জাতীয় খাবার
শিম জাতীয় খাবার দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ। এগুলি হজমে সহায়তা করে, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে সুস্থ হজম প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। মেনে চলুন এই টিপস। রোজ খান এমন খাবার।
চিয়া সিড
চিয়া বীজে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, ওজন নিয়ন্ত্রণে এবং হজমের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। চিয়া সিড খেতে পারেন জল খাবারে।
আভোকাডো
আভোকাডোতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এটি সুস্থ হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। আভোকাডোর ফাইবার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে।
বেরি
রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরির মতো বেরিগুলিতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। বেরিতে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং সুস্থ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম বজায় রাখতে সাহায্য করে।