
Alcohol: সারা সপ্তাহ অফিসে ব্যস্ততার পর সপ্তাহান্তে বন্ধুদের সাথেই হোক বা বাড়িতে একা বসে একটু মদ্যপানের আয়োজন মন্দ লাগে না। অনেকে এটাকে নেশা বলেই মানতে চান না। সপ্তাহান্তে মাঝে মাঝে পান করা হয় বলে হেলায় উড়িয়ে দেন। তবে যে কোনও পার্টি, অনুষ্ঠান বা সপ্তাহান্তে অল্প স্বল্প খাওয়ার প্রবণতাই আপনাকে অভ্যাসের দিকে ঠেলে দেয়, যাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকটা। এই অভ্যাস যে কোনও জরুরি কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনেরও ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই আসুন জেনে নিই, কীভাবে এই মদ্যপানের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
আগে থেকে সপ্তাহান্তে পার্টির প্ল্যান থাকলে, আগে থেকেই ঠিক করুন কতটা মদ্যপান করবেন। পরিস্থিতি তাতে যাই হোক, সেই সীমা অতিক্রম করবেন না। এমনকী বন্ধুরা জোর করলেও না। প্রয়োজনে ধীর গতিতে খান। অথবা এমন ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় যান যেখানে মদ পাওয়াই যায় না। এছাড়া, পারলে কোথাও লিখে রাখুন যে সারা মাসে কতটা মদ্যপান করছেন বা করবেন। তাতে মদ্যপানের পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হবে।
মদ্যপানের কৌশলে একটু বদল আনুন। এক গ্লাস মদ, তারপর এক গ্লাস জল খান। এভাবেই যত গ্লাস মদ্যপান করবেন, তত গ্লাস জলই খান। এতে আপনার পেটও ভর্তি থাকবে, মদ খাওয়ার পরিমাণও কমবে।
খালি পেটে মদ্যপান কখনও করবেন না। এতে শরীরের ক্ষতি বেশি হয়। আগে হালকা কিছু খাবার খান, তারপর মদ্যপান করুন। এতে পেট ভর্তি থাকবে, মদ্যপানের প্রবণতাও কমবে।
সপ্তাহান্তে ছুটি কাটাতে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বেরিয়ে বা একাই ঘরে বসে মদ্যপানের অভ্যাস তৈরি হয়ে যায় অনেকের। এই অভ্যাস এড়াতে বরং চেষ্টা করুন ছুটি কাটানোর বিকল্প কোনও উপায় খুঁজে বের করতে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, সিনেমা দেখতে যান, বই পড়ুন অথবা কোথাও থেকে ঘুরে আসুন। দেখবেন মদ্যপানের কথা হয়তো ভুলেই গিয়েছেন।
মদ্যপানের অভ্যাসের বদলে চা বা কফির নেশা করা অনেক ভালো। বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি চা, কফি বাড়িতে বানিয়ে খান বা কোনও ক্যাফেতে গিয়ে খান। যে সময়ে মদ্যপানের ইচ্ছা বাড়বে, তখনই চা বা কফি খেলে সেই ইচ্ছা প্রশমিত হতে পারে। এতে স্বাদ বদলও হবে, আর মদ্যপানের অভ্যাসও দূর হবে।
অনেকেরই অভ্যাস বা শখও বলতে পারেন, বাড়িতে মদ মজুত করা। স্কচ, হুইস্কি, রাম, ভদকা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের দেশী-বিদেশি মদ মজুত করে রাখেন অনেকে। এর ফলে মদ খাওয়ার ইচ্ছা জাগলেই সহজলভ্য হওয়ায় তখনই খেয়ে নেওয়া যায়। অথচ বাড়িতে মজুত না থাকলে যখন তখন ইচ্ছা জাগলেও মদ খাওয়ার উপায় থাকে না। এতে মদ্যপানের অভ্যাস ও প্রবণতা দুইই কমবে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।