
Healthy Food: এখন স্থূলতা, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার, ইত্যাদি সমস্যাগুলি ঘরে ঘরে। শরীর চর্চার অভাব এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এর মূল কারণ। শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই জিমে ভর্তি হয়েছেন ঠিকই, তবে তার সাথে প্রয়োজন খাদ্যাভাসেও নিয়ন্ত্রণ আনা। চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানরা প্রথমেই পরামর্শ দেন অতিরিক্ত তেল মশলা ও ক্যালরিযুক্ত খাবার বর্জন করতে। তবে ভারতীয়দের রান্নায় তেল-মশলা থাকবে না, এটা ভাবতেই অবাক লাগে। কিন্তু এই প্রতিবেদনে এমন কিছু কৌশলের কথা বলব যা মেনে চললে আপনি এক ফোঁটাও তেল ছাড়াই রান্না করতে পারবেন, স্বাদ ও পুষ্টিগুণ থাকবে একেবারে অক্ষুণ্ণ।
তেল-মশলা দিয়ে রান্না করার থেকে ভাপিয়ে নেওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। যে কোনও ধরনের শাকসবজি জলে বা স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। লবণ, গোল মরিচ দিয়ে ভাপিয়ে খেতে পারেন। না হলে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, লবণ, জিরে গুঁড়ো দিয়ে ভাপানো সবজি মেখে বা ভর্তা বানিয়ে খেতে পারেন। এতে স্বাদও পাবেন, সুস্থও থাকবেন।
টক দই আপনার তেলের প্রয়োজনীয়তা কমাবে। টক দইয়ের সঙ্গে সব গুঁড়ো মশলা মিশিয়ে নিয়ে তাতেই সবজি বা মাছ মাংস কষান। দই থেকে তেল ছাড়লে সেই তেলেই রান্না হবে সবজি। এছাড়া ম্যারিনেশনেও ব্যবহার করতে পারেন। এতে খাবারের গ্রেভি দেখতে ভালো হবে, সঙ্গে প্রবায়োটিকও পাবেন।
গুঁড়ো মশলার বদলে গোটা মশলা ব্যবহার করুন। কম আঁচে গোটা মশলা দিয়ে রান্না করলে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ দুইই অক্ষুণ্ণ থাকবে। ভালো সেদ্ধ হবে সবজি। মশলার পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ পাবেন। এছাড়াও গোটা মশলার তেলেই তরকারি কষবে ভালো।
তেল দিয়ে মশলা কষানোর থেকে জল দিয়ে তরকারি ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পেঁয়াজ, রসুন, আদা ইত্যাদি দিয়ে যখন মশলা কষাবেন তখন অল্প অল্প করে গরম জল দিন আর ফুটিয়ে নিয়ে মশলা কষাতে থাকুন, এতে তেলের দরকার পড়বে না। স্বাদও বজায় থাকবে, অতিরিক্ত ক্যালরিও যুক্ত হবে না।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।