
গরম গরম পাকোড়ার স্বাদ অতুলনীয়। অনেকের তো নাম শুনলেই জিভে জল আসে। বর্ষাকালে গরম পাকোড়ার স্বাদই আলাদা। বিশেষ করে উৎসবে পাকোড়া খাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। কিন্তু অনেকেরই সমস্যা হলো পাকোড়া বেশি তেল শুষে নেয়। ফলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শুধু তাই নয়, স্বাদও নষ্ট হয়। আপনারও কি প্রতিবার পাকোড়া বানালে এই সমস্যা হয়? চিন্তার কিছু নেই। কম তেলে মচমচে পাকোড়া বানানোর টিপস আমরা আপনাকে জানাবো।
মিষ্টির দোকান বা রাস্তার ধারের খাবারের দোকানে পাকোড়াগুলো খুব মচমচে এবং শুকনো হয়। এর পেছনের রহস্য কী? চালের গুঁড়ো। হ্যাঁ, চালের গুঁড়ো পাকোড়ার তেল শোষণ কমাতে এবং মচমচে করতে সাহায্য করে। পরের বার পাকোড়া বানালে বেসনের সাথে অল্প চালের গুঁড়ো মেশান। চালের গুঁড়ো একটি আবরণ তৈরি করে যা পাকোড়ায় তেল ঢুকতে বাধা দেয়। এছাড়াও, চালের গুঁড়োতে থাকা স্টার্চ ভাজার সময় পাকোড়াকে মচমচে করে তোলে।
চালের গুঁড়োর বিকল্প..
যদি আপনার চালের গুঁড়ো পছন্দ না হয়, তাহলে তেলের মধ্যে এক চিমটি নুন দিন। এটি তেলের অণুগুলিকে একত্রিত করে একটি পাতলা আবরণ তৈরি করে, যা পাকোড়ার তেল শোষণ কমায়। নুন দেওয়ার আরেকটি সুবিধা হলো, পাকোড়াগুলো তেলে দেওয়ার পর একে অপরের সাথে লেগে যায় না। লবণ তেলে একটি মসৃণ আবরণ তৈরি করে যাতে পাকোড়া সহজেই উল্টে দেওয়া যায়।
এই টিপসগুলোও মেনে চলুন…
* পাকোড়া ভাজার জন্য বড় কড়াই ব্যবহার করুন। ছোট কড়াই হলেও ভালো করে ভাজা যায়।
* পাকোড়া ভালোভাবে ভাজতে বেশি তেল লাগে। কম তেলে পাকোড়া লেগে যায় এবং ভালোভাবে ভাজা হয় না।
* কখনোই কম আঁচে পাকোড়া ভাজবেন না। সবসময় মাঝারি আঁচে রাখুন। তাপমাত্রা ঠিক না থাকলে পাকোড়া তৈলাক্ত হয়।
* ঠান্ডা কড়াইয়ে পাকোড়া দেবেন না। তেল ভালো করে গরম হওয়া জরুরি।