
শীতকালে ঘন দই বসাতে কাঁচালঙ্কা আর গুঁড়ো দুধের টোটকা খুব কার্যকর!গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে দুধ ফোটালে বা কাঁচালঙ্কার বোঁটা দুধের পাত্রে রাখলে দই দ্রুত ও ঘন জমে, কারণ গুঁড়ো দুধ দইকে ক্রিমি ও ঘন করে এবং কাঁচালঙ্কা দই জমানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুত করে, যা ঠান্ডায় ধীর হয়ে যায়; এছাড়া গরম পাত্রে বসানো, উলের কাপড় বা কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা এবং দুধের সাথে এক টুকরো আদা বা শুকনো লঙ্কা ব্যবহার করাও জরুরি।
* দুধ গরম করার সময় ২ চামচ গুঁড়ো দুধ (পাউডার মিল্ক) ভালো করে মিশিয়ে নিন, খেয়াল রাখবেন যেন কোনো দলা না থাকে। এটি দইকে ক্রিমি ও ঘন টেক্সচার দেবে, যা ঠান্ডার কারণে পাতলা হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করবে।
* দইয়ের পাত্রে ১-২টি কাঁচালঙ্কার বোঁটা (ডাঁটি) বা একটি শুকনো লঙ্কা রেখে দিন। লঙ্কা দই জমানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে সাহায্য করে, যা শীতের কম তাপমাত্রায় খুবই দরকারি।
* দুধ এমনভাবে গরম করুন যেন আঙুল ডোবানো যায় (খুব বেশি গরম নয়) এবং তারপর ভালো করে ফেটিয়ে নিন।
* দইয়ের পাত্রটি গরম ও শুকনো হতে হবে, স্টিলের বা মাটির পাত্র ভালো।
* দই জমানোর পাত্রটি একটি উলের কাপড়, তোয়ালে বা কম্বল দিয়ে ভালোভাবে মুড়ে দিন, যাতে তাপ ভেতরে আটকে থাকে এবং দই ঠিকমতো বসে।
৫. কেউ কেউ আবার মাইক্রোঅয়েভ অভেন ব্যবহার করে দই পাতেন। কাচের পাত্রে দই পেতে তার পর সেটিকে খুব সাবধানে মাইক্রোঅয়েভের ভিতরে রেখে দেন। সারা রাত পাত্র কেউ না সরালে বা নড়ালে সকালে দই জমে যায়। প্রয়োজনে পাত্র বসানোর আগে মিনিটখানেকের জন্য যন্ত্রটি চালিয়ে গরম করে নেন অনেকেই।
* দুধের সাথে সামান্য আদা বাটা মিশিয়েও দেখতে পারেন, এটিও দই জমাতে সাহায্য করে।
* দই পাতার পর সহজে নড়বে না এমন জায়গায় রাখুন।
এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে শীতের দিনেও আপনি দোকানের মতো ঘন ও জমাট দই বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন।