
আজকালকের ব্যস্ত জীবনে সময়ের বড়ো অভাব। রোজ বাজার থেকে টাটকা সবজি মাছ মাংস কিনে এনে খাওয়া সম্ভব নয়। অগত্যা ফ্রিজই ভরসা। ছুটির দিন সারা সপ্তাহের বাজার সেরে তা স্টোর করে রাখা হয় ফ্রিজে।
এই প্রয়োজনীয়তা এখন অভ্যাসে বদলেছে। সপ্তাহের বাজার থেকে এখন সারা মাসের স্ন্যাক্স, মরসুমি খাবার দাবার, সারা বছরের সস জ্যাম ইত্যাদি এখন ফ্রিজেই মেলে সবসময়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু (WHO)’, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA) বলছে, হিমায়িত কাঁচা মাংস ঘরের তাপমাত্রায় রাখার ফলে কাঁচা মাংস দ্রুত ব্যাক্টেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে। উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলেও তার সবটুকু নষ্ট হয় না।
খাবার বেশিদিন হিমায়িত করে রাখলে কী হয়?
হিমায়িত করলে ব্যাকটেরিয়া মারা যায় না, কিন্তু তাদের বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায়। এরপর গলানোর সময় ব্যাকটেরিয়া পুনরায় সক্রিয় হতে পারে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে। মাংসের উপরিবাগের তাপমাত্রা দ্রুত কমে গিয়ে ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে উত্যে গেলে তাতে কোলাইয়ের মতো ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। যা ২০ মিনিটে আগের থেকে দ্বিগুন গতিতে বংশবিস্তার করে আবার। এছাড়াও প্রয়োজনের বেশি, বা অনেকদিন ধরে হিমায়িত করলে মাংসের গঠন এবং স্বাদের উপর প্রভাব পড়তে পারে। হিমায়িত মাংস, বিশেষ করে প্যাকেজ করা এবং প্রক্রিয়াজাত মাংসে উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম, অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রিজারভেটিভ থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
তবে মাংস থেকে বরফ ছাড়ানোর স্বাস্থ্যস্মত উপায়?
১. যে দিন রান্না করবেন তার আগের রাতে ডিপ ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে ফ্রিজারে ভরে রাখুন। ফ্রিজারে ঠান্ডা কম, ফলে বরফ গলবে তবে মাংসের বাইরের অংশ সেই তাপমাত্রায় পৌঁছবে না যে তাপমাত্রায় ব্যাক্টেরিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে প়ড়বে।
২. মাংস জিপ লক প্যাকেটে ভরে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে চট করে মাংসের উপরিভাগ গরম হয়ে যাবে না। ধীরে ধীরে সমস্ত মাংসই ঘরের তাপমাত্রায় চলে আসবে।
৩. মাইক্রোওয়েভ অভেনে ‘ডিফ্রস্ট’ সেটিং-এ দিয়েও মাংসের বরফ বা অতিরিক্ত ঠান্ডা কাটিয়ে নিতে পারেন।