যারা ডায়েটে রয়েছে বা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে তাদের এই পুজোর সময় রীতিমত সাবধানে চলতে হবে। তবে ওজন সবথেকে বেশি বাড়ে কিন্তু জাঙ্কফুড আর মিষ্টি খাওয়ার কারণে।
পুজো মানেই দেদার খাওয়া দাওয়া। দুর্গা মানেই মিষ্টিমুখ। কিন্তু তাতে চড়চড়িয়ে বাড়বে ওজন। পুজোর দিনগুলিতে নিয়ম ভাঙার পালা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু যারা ডায়েটে রয়েছে বা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে তাদের এই পুজোর সময় রীতিমত সাবধানে চলতে হবে। তবে ওজন সবথেকে বেশি বাড়ে কিন্তু জাঙ্কফুড আর মিষ্টি খাওয়ার কারণে। কারণ এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মশলা, সসেজ এবং পনির ভরাট করে তৈরি জাঙ্ক ফুড অনেকেরই প্রথম পছন্দ। আবার মিষ্টি ছাড়া অনেকে চলতেই পারে না।
আসুন পুজোর মুখে দেখেনি কী করে এই দুটি খাবার থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকা যায়।
১. বেশি করে জল খান
বারবার জল পান করুন। খিদে পেলে অন্য কোনও খাবার খাওয়ার আগে জল খেয়ে নিন। তাতে জাঙ্কফুড বা অন্য কোনও খাবার ইচ্ছে অনেকটাই কমে যাবে। চেষ্টা করুন জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে সাধারণ খাবার খেতে। ঠাকুর দেখতে বেরহওয়ার সময় অবশ্যই জল সঙ্গে রাখুন। একটু একটু করে তা পান করুন। তাহলে খাবার ইচ্ছে অনেকটাই কমবে।
২. প্রোটিন খাবার
প্রোটিন জাতীয় খাবার যদি বেশি করে খান তাহলে খিদে কম পাবে। খাওয়ার ইচ্ছে অনেকটা কমবে। এজাতীয় খাবার ত্বক ও পেশী, হাড়, নখ চুলকে শক্তিশালী করে। অ্য়ামিনো অ্যাসিড শরীরকে শক্তিশালী করে।
৩. fermented খাবার
দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় দই, সায়াবিন জাতীয় খাবার খান। দইয়ের সঙ্গে ফল মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে অন্ত্র ভাল থাকে। আবার এই খাবারগুলি চিনি বা মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কমিয়ে দেয়।
৪. হাঁটুন
পুজোর সময় প্রচুর খাওয়া দাওয়া হয়। তাই প্যান্ডেল হপিং এ যাবা বাইরে যান না তারা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ১৫-২০ মিটিন বার করে খোলা হাওয়ায় হাঁটুন। তাতে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
৫. ফল খান
চিনি বা জাঙ্ক ফুড খাওয়া কমানোর জন্য নিয়মিত ফল খান। ফলে মিষ্টি রয়েছে। তেমনই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও পুষ্টি। পাতে বাগাম বা বীজ জাতীয় খাবার খান। তাহলে বারবার খিদে কম পাবে।