ঢ্যাঁড়শ গরমকালের একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। এটি খাদ্যগুণ প্রচুর। চোখ ত্বকের পাশাপাশি পেটের সমস্যা দূর করে।
গরমকালের জন্য ঢ্যাঁড়শ একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। বাজারে গিয়ে তাজা ঢ্যাঁড়শ কেনা কিছুটা হলেও কঠিন। বাজারে ভেজাল সবজির রমরমা বাড়ছে। রাসায়নিক দিয়েই ঢ্যাঁড়শ ফলান হচ্ছে। এজাতীয় ফলস কিন্তু কোনও উপকারে আসে না, এতে শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। তাই সবকিছু ভুলে একদম দেশি ঢ্যাঁড়শ কেনার ওপরই জোর দিন বাজারে গিয়েছ। কারণ এতেই থাকে প্রচুর ভিটামিন আর ফাইবার।
ঢ্যাঁড়শ চেনার সহজ উপায়ঃ
১. ঢ্যাঁড়শ ভাঙা
প্রথমেই ঢ্যাঁড়শের শেষেক দিকের ছুঁচোলো মুখটি ভাঙার চেষ্টা করুন। যদি মট করে ভেঙে যায় তাহলে বুঝতে হবে ঢ্যাঁড়শটি তাজা আর কচি। কিন্তু ঢ্যাঁড়শ যদি বুড়ো বা পাকা হয় তাহলে এই অংশটি ভাঙবে না।
২. ঢ্যাঁড়শের গায়ের কাঁটা
ঢ্যাঁড়শ যদি তাজা হয় তাহলে ঢ্যাঁড়শের গায়ে হালকা কাঁটা দেখা দেবে। এটি মূলত ঢ্যাঁড়শের ফাইবার। কিন্তু এই ফাঁবারের অংশটি যদি না থাকে সেই ঢ্যাঁড়শ বাতিল করে দিন। কারণ ঢ্যাঁড়শে প্রচুর পরিমাণে জল আর ভিটামিন থাকে। এটে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই কেনার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখুন।
তাজা ঢ্যাঁড়শ গরমকালে ডিহাইড্রেটড হওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, ফাইবার, বায়োঅ্য়াকটিভ যৌহ রয়েছে। শরীরে হাইড্রেশন বাড়ায়। পাকস্থলী আর অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে।
ঢ্যাঁড়শ পেট ভাল রাখে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটি কষ্ঠকাঠিন্য সারাতে পারে। যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ পাতে রাখতে পারেন। ঢ্যাঁড়শ ত্বকের সমস্যা সমাধান করে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা গরমকালে ত্বকের সমস্যায় ভোগে। আর সেই কারণে তাদের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রয়োজন হয়। তাই সংশ্লিষ্টরা গরমকালে নিয়মিত পাতে তাডা ঢ্যাঁড়শ করাখতে পারেন। এতে ত্বক ভালো থাকে। ঢ্যাঁড়শে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, যা চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে। ঢ্যাঁড়শ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই কারণ নিয়মিত এই সবজি পাতে রাখতে পারেন। তবে ঢ্যাঁড়শ সর্বদা তাদা কেনার চেষ্টা করবেন। নাহলে এর কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়। শারীরিক সমস্যা দূর হওয়ার পরিবর্তেন অপকারই বেশি হবে।