জয়েন্টের ব্যথা উপশম করে এবং আর্থ্রাইটিসের সমস্যা শেষ করতে পারে। শুধু তাই নয়, মধু এবং দারুচিনি অন্যান্য অনেক রোগেও খুবই উপকারী। আসুন জেনে নেই তাদের উপকারিতা..
বাড়ির রান্নাঘরে থাকা মধু ও দারুচিনির উপকারিতা আপনি কমই জানেন। আয়ুর্বেদিক ওষুধে মধুর গুরুত্ব রয়েছে। দারুচিনিও ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। যদি এই দুটি উপাদান এক সঙ্গে ব্যবহার করা হয়, তাহলে এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য এক ওষুধের মতো কাজ করে। এটি জয়েন্টের ব্যথা উপশম করে এবং আর্থ্রাইটিসের সমস্যা শেষ করতে পারে। শুধু তাই নয়, মধু এবং দারুচিনি অন্যান্য অনেক রোগেও খুবই উপকারী। আসুন জেনে নেই তাদের উপকারিতা..
বাতের ব্যথা দূর করে
কেউ যদি বাতের ব্যথায় অস্থির থাকেন তাহলে মধু ও দারুচিনি ব্যবহারে অনেক উপশম পাওয়া যায়। হালকা গরম জলতে এক চামচ মধু ও দারুচিনি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্যথার জায়গায় লাগালে আশ্চর্য উপকার পাওয়া যায়। গরম জলে দুই চামচ মধু ও এক চামচ দারুচিনি মিশিয়ে প্রতিদিন ব্যবহার করলে বাতের সমস্যা শেষ হয়ে যেতে পারে।
হৃদরোগ থেকে দূরে রাখে-
কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার কারণে হৃদরোগ হতে শুরু করে। এক্ষেত্রে মধু-দারুচিনি সেবন শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল দূর করে এবং হৃদরোগ কমায়। ৩ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো এবং ২ চামচ মধু সামান্য জলে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে হৃৎপিণ্ড খুব শক্তিশালী হয়।
ওজন কমায়-
আজকের লাইফস্টাইলের কারণে ওজনের সমস্যাও সাধারণ হয়ে উঠেছে। দারুচিনি ও মধু সেবন করলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। মধু ও দারুচিনি কুসুম গরম জলের সঙ্গে দিনে তিনবার খেলে ওজন দ্রুত কমে।
আরও পড়ুন- কোলেস্টেরল বাড়লে চোখে এমন লক্ষণ দেখা যায়, উপেক্ষা না করে অবিলম্বে টেস্ট করান
আরও পড়ুন- শুকনো আদার গুঁড়ো স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী, কিভাবে কখন এটি ব্যবহার করবেন
আরও পড়ুন- উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করবে এই বিশেষ তেল, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন
মুখের বাজে গন্ধ দূর করুন
কয়েকবার ব্রাশ করার পরও যদি মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে যায়, তাহলে মধু ও দারুচিনি খুব উপকারী। দুটোতেই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ পাওয়া যায়, যা মাড়ি ও দাঁতের ইনফেকশন দূর করে। নিয়মিত মধু-দারুচিনির পেস্ট মাড়ি ও দাঁতে মালিশ করলে মুখের স্বাস্থ্যের উপকার হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-
কেউ বারবার অসুস্থ হয় তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে চান, তাহলে নিয়মিত মধু এবং দারুচিনি খেতে হবে। মধু এবং দারুচিনিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এর সাহায্যে, বাহ্যিক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ থেকে সুরক্ষা মেলে।