
Healthy Food: রোজকার জীবনে কাজের ব্যস্ততাই হোক বা অবসর সমযয়ের ছোট ছোট চোখের খিদেয় আমরা সাধারণত বেছে নিই অস্বাস্থ্যকর কিছু চটপটা স্ন্যাক্স। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁরা ভাজাভুজি বা প্রসেসড খাবার এড়িয়ে খোঁজ করেন পুষ্টিকর বিকল্পের। এই তালিকায় দু'টি পরিচিত এবং সহজলভ্য নাম আসতে পারে কলা ও খেজুর। দু’টি ফলই খেতে ভালো, পুষ্টিকর এবং দ্রুত শক্তি জোগায়। কিন্তু কোনটি খেলে উপকার বেশি? কখনই বা খাওয়া যায়? জানতে হলে আগে কলা এবং খেজুরের মধ্যে পুষ্টিগত পার্থক্য জানা প্রয়োজন।
প্রতি ১০০ গ্রাম ওজনের পরিপ্রেক্ষিতে কলায় ৮৯ ক্যালোরি থাকে, শর্করা ১২ গ্রাম, ফাইবার ২.৬ গ্রাম, পটাশিয়াম অনেকটা থাকলেও আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে কম। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে কম। প্রতি ১০০ গ্রাম খেজুরে ১৮০ ক্যালোরি, শর্করা ৬৪ গ্রাম, ফাইবার ৮ গ্রাম, তবে পটাশিয়াম কলার তুলনায় কম থাকে, আবার আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে বেশি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও বেশি।
১০০ গ্রাম কলার মধ্যে প্রায় ৮৯ ক্যালোরি থাকে, সম পরিমাণ খেজুরের মধ্যে ১৮০ ক্যালোরি থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে কলা উপযুক্ত। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং কম শর্করার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কলা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। তবে অবশ্যই পরিমাণ বুঝে খেতে হবে।
কলা এবং খেজুরে উচ্চমাত্রার ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যথাক্রমে ২.৬ গ্রাম এবং ৮ গ্রাম। যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে কার্যকরী। তবে এক্ষেত্রেও খেজুর কিছুটা এগিয়ে। বেশি ফাইবার বেশি উপকার।
শরীরচর্চার পরে দু'টি খাবারই খাওয়া যায়, দুটিই উপকারী। শরীরচর্চার পরে দেহে শক্তির প্রয়োজন হয়। আর কলার তুলনায় খেজুর অনেক কম সময়ে শক্তি প্রদান করতে পারে।
কলার মধ্যে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখার। এমনকি পেশি সুস্থ রাখতে সহায়ক।
খেজুরে আয়রনের পরিমাণ বেশি, যা রক্তাল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।