
শীতের দিনে পিঠে পায়েস হবে না তা আবার হয় নাকি? কিন্তু সবাই সঠিক ভাবে পাটিসাপটা বানানোর ট্রিক্সটা বুঝতে পারেন না। আর এই কারণে অনেক সময় পাটিসাপটা তুলতে গিয়ে তা ভেঙে যায়। তাই আজকে আপনাদের দারুন কিছু ট্রিকস শেয়ার করা যাক পাটিসাপটা নিয়ে।
পারফেক্ট ক্ষীরের পাটিসাপটার আসল ট্রিক হলো ব্যাটারের সঠিক ঘনত্ব। সুজি ও গুঁড়ো দুধের ব্যবহার, এবং ক্ষীরকে ঘন ও ক্রিমি করা, যা পিঠাকে নরম ও সুস্বাদু করে। চালের গুঁড়ো, ময়দা, সুজি ও দুধের মিশ্রণকে ভালো করে ফেটিয়ে দানা ছাড়া ব্যাটার তৈরি করে। তারপর ঘন করে বানানো ক্রিমি ক্ষীর (দুধ, চিনি, গুঁড়ো দুধ, সুজি/চালের গুঁড়ো দিয়ে) পুর হিসেবে ব্যবহার করলে প্যানে আটকে না গিয়ে নিখুঁত পাটিসাপটা তৈরি হয়।
১. ব্যাটারের কৌশল :
* উপকরণ: চালের গুঁড়ো, ময়দা, সামান্য সুজি, চিনি, নুন, এবং দুধ বা জল।
* মিশ্রণ: সব শুকনো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার অল্প অল্প করে দুধ বা জল মিশিয়ে একটি মসৃণ ও পাতলা ব্যাটার তৈরি করুন, যাতে কোনো দানা না থাকে।
* গুরুত্বপূর্ণ টিপস: ব্যাটারটি ১ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। এতে সুজি ও চালের গুঁড়ো নরম হবে এবং পাটিসাপটা মসৃণ হবে।
* উপকরণ: ঘন দুধ, গুঁড়ো দুধ, চিনি, সামান্য সুজি বা চালের গুঁড়ো এবং ঘি (ঐচ্ছিক)।
* তৈরি করার নমুনা : দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। এতে চিনি, গুঁড়ো দুধ ও সামান্য সুজি/চালের গুঁড়ো মিশিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না এটি ঘন ও ক্রিমি হয়ে আসে (প্রায় খোয়ার মতো)। গুঁড়ো দুধ দিলে টেক্সচার খুব ভালো হয়।
* তাওয়া/প্যান: একটি নন-স্টিক তাওয়া হালকা গরম করুন। সামান্য ঘি মাখিয়ে নিন।
* ব্যাটার দেওয়া: একটি বড় চামচ ব্যাটার তাওয়ায় ঢেলে তাওয়া ঘুরিয়ে বা সাঁড়াশি দিয়ে ধরে ব্যাটারটি পাতলা ও গোল করে ছড়িয়ে দিন, যাতে সবদিকে সমান হয়।
* পুর ও ভাঁজ: ব্যাটারের একপাশে পরিমাণমতো ক্ষীর দিন। এবার সাবধানে ভাঁজ করে রোল করুন। তাওয়া ঘুরিয়ে সবদিকে সেঁকে নিন।
** ব্যাটারের ঘনত্ব ঠিক রাখা, ক্ষীরে গুঁড়ো দুধ যোগ করা এবং কম আঁচে ধীরে ধীরে ভাজা—এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে প্যানে আটকে যাবে না এবং পারফেক্ট নরম ও সুস্বাদু পাটিসাপটা তৈরি হবে।