
কালীপুজো ভাইফোটার পর থেকেই আবহাওয়ার আংশিক পরিবর্তন শুরু হয়। এই সময় শীতেকালের শুরুতে নতুন নতুন সবজি বাজারে উঠতে দেখা যায়।বিভিন্ন রকম শাকসবজি থেকে শুরু করে ফুলকপি, নতুন আলু আরো কত কি। এই সময় বাজার ভর্তি থাকে প্রচুর শাক দিয়ে মানে যেমন ধরুন লাল শাক বা পালং শাক।
শাক সবজির মধ্যে পালং শাক এই সময় বাজারের নতুন আকর্ষণ থাকে। শীতের নতুন সবজি বা শাক খেতে দুপুর বেলা দারুন লাগে। যদি তা হয় একটু মুগডাল ছড়ানো অথবা বড়ি দিয়ে শাক রান্না তাহলে তো গরম ভাতে জমে যায়। আর পালং শাকের দিনে পালং শাক দিয়ে আমিষ রান্না বেশ ভালোই যায়। কারণ অনেকেই পালং শাক দিয়ে চিকেনের অনেক রকম রেসিপি করে থাকেন। আজকেও ঠিক সেই রকমই একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম ডাল-পালং মোড়া কাতলা মাছ। দেখে নিন তার রেসিপি।
* ডাল-পালং মোড়া কাতলা:
উপকরণ:
* কাঁচা মুগ ডাল সেদ্ধ – ১৫০ গ্রাম
* পালং শাক কুচানো – ৫০ গ্রাম
* কাতলা মাছ – ২ টুকরো
* পরিমাণ মতো - ঘি
* পরিমাণ মতো - হিং
* গোটা জিরে – ১/২ চামচ
* তেজ পাতা – ২
* আদা বাটা – ১ চামচ
* কাঁচা লঙ্কা বাটা – ১ চামচ
* দুধ – ১ কাপ
* হলুদ গুঁড়ো – সামান্য
* নুন – পরিমাণ মতো
* গরম মশলা গুঁড়ো -১ চামচ
* শুকনো লঙ্কা – ২ টি
* ভাজা জিরে গুঁড়ো – ১চামচ
* প্রণালী:
প্রথমে মাছগুলোতে নুন আর হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। তারপর হালকা করে ভেজে নিতে হবে ঘিতে। তারপর আবার একটু ঘি গরম করে তাতে গোটা জিরে, হিং, তেজ পাতা, শুকনো লঙ্কা, ফোঁড়ন দিয়ে কুচানো পালং শাক দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়ে তাতে একটু আদা বাটা দিয়ে সিদ্ধ মুগ ডাল ঢেলে দিতে হবে। নুন, হলুদ, কাঁচা লঙ্কা বাটা দিয়ে নেড়ে, ভাজা মাছ গুলো দিতে হবে। এরপর আঁচ কমিয়ে দুধ দিয়ে নাড়তে হবে যতক্ষণ না ঘন হচ্ছে। নামানোর আগে ঘি, ভাজা জিরে গুঁড়ো আর গরম মশলা গুঁড়ো দিতে হবে। গরম ভাতের সাথে জাস্ট জমে যাবে। দুপুরের গরম গরম ভাতের সাথে ডালপালং মোড়া কাতলা মাছ একবার খেয়ে দেখুন। শীতের দুপুর সম্পূর্ণ জমজমাট।