
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাষ্ট স্বাধীন হয়েছিল এবং তারপর থেকে এই দিনটি দেশবাসীর কাছে একটি বিশেষ দিন হিসাবে পালিত হচ্ছে। মানুষ এই দিনটিকে তাদের নিজস্ব উপায়ে উদযাপন করে, যা হৃদয়কে দেশপ্রেমে পূর্ণ করে। ২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজ দেখা এই দিনটি উদযাপনের সেরা উপায়। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যাদের ঘরে বসেই স্বাধীনতা দিবস পালন করতে বেশি পছন্দ করেন।
আপনি খাবারের মাধ্যমেও উদযাপনের মজা দ্বিগুণ করতে পারেন। এখানে আমরা আপনাকে তিরাঙ্গা ধোকলার রেসিপি বলতে যাচ্ছি, যার স্বাদ আশ্চর্যজনক। আপনি স্বাধীনতা দিবসে ত্রিবর্ণের ধোকলা তৈরি করতে পারেন এবং এটি শিশুদের খাওয়াতে পারেন এবং ছুটির দিনে তারা এই । আপনি এটা সহজেই বাড়িতে তৈরি করতে পারবেন। জেনে নেওয়া যাক তিরঙ্গা ধোকলা তৈরির রেসিপি
এটি তৈরি করতে আপনার এই জিনিসগুলির প্রয়োজন হবে
সুজি (২৫০ গ্রাম)
বেসন (এক কাপ)
টমেটো (২)
দই (এক কাপ)
কারি পাতা
পালং শাক
নারকেল গুঁড়ো
সরিষা দানা (এক চা চামচ)
লেবুর রস
লবন (এক চা চামচ)
কিভাবে তিরঙ্গা ধোকলা বানাবেন
তিনটি ভিন্ন রঙের ব্যাটার প্রস্তুত করুন। তিনটি আলাদা পাত্রে রাখুন। সবুজ ব্যাটার প্রস্তুত করতে এবার পালং শাক ধুয়ে পেস্ট করে নিন। একটি পাত্রে সুজি রাখুন। সুজিটি পালং শাকের পেস্টে ভিজতে দিন। জাফরান রঙের ব্যাটার প্রস্তুত করতে টমেটো পিউরি তৈরি করে তাতে কিছুটা সুজি আরেকটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সাদা ব্যাটার এর জন্য কোন রং লাগবে না। বাটিতে দই ঢালুন ভালো করে ফেটিয়ে তাতে অল্প লবণ দিন এতে বাকি সুজি ভিজিয়ে রাখুন। এরপর তিনটি আলাদা রঙের পেস্ট ভালো করে মিশিয়ে নিন।তিনটি রঙের ব্যাটার প্রস্তুত। এবারে ১০-১৫ মিনিট ঢেকে রেখে দিন ব্যাটারটি ফুলে উঠবে।
এরপর একটি পাত্রে জল গরম করুন। তাতে একটি জাল বা স্ট্যান্ড রাখুন। এবার ধোকলা বানানোর জন্য প্লেটে তেল দিন। এর উপর বাটার পেপার রাখুন। এবার প্রথমে সবুজ রঙের ব্যাটার দিন। তারপর সাদা রঙের ব্যাটার ঢেলে দিন এবং তারপর জাফরান রঙের ব্যাটার দিন। এবার ঢেকে রাখুন। ধোকলা রান্না হতে দিন। ধোকলা সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে তেল নিয়ে তাতে গোটা সরষে কারি পাতা ও নারকেল কোরা সামান্য ভেজে ধোকলার উপর থেকে ঢেলে দিন। এরপর উপর থেকে লেবুর রস ছড়িয়ে চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন পরিবারকে। সবাই এই ধোকলা খুব পছন্দ করবে।