Junk Food: সমীক্ষা বলছে, বিজ্ঞাপন দেখেই জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে শিশুদের মধ্যে

Published : May 15, 2025, 09:32 PM ISTUpdated : May 15, 2025, 09:38 PM IST
National Junk Food Day

সংক্ষিপ্ত

Junk Food Habits: বিজ্ঞাপনে দেখানো আকর্ষণীয় ও লোভনীয় ছবি দেখেই জাঙ্ক ফুড খাওয়ার চাহিদা বেড়েছে শিশুদের মধ্যে। দিনে কম করে হলেও ১৩০ ক্যালোরি বেশি ঢুকছে তাদের শরীরে। এমনই বলছে সমীক্ষা।

Junk Food for Kids: বর্তমান যুগে টেলিভিশন, ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের দখলে রয়েছে শিশুদের অবসর সময়। এর ফলে তারা ক্রমাগত নানান ধরণের খাবারের বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হচ্ছে, বিশেষ করে শর্করা, ফ্যাট ও লবণযুক্ত জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউনিসেফ সহ একাধিক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করেছে, এই ধরণের বিজ্ঞাপন শিশুদের খাদ্যাভ্যাসকে প্রভাবিত করে স্থূলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ২০২৪ সালে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের একটি গবেষণাপত্র ‘পাবমেড’-এ প্রকাশিত হয়, যেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে ‘ফুড মার্কেটিং’-এর প্রভাব শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের খাদ্যাভ্যাসের ধরনে নেতিবাচক পরিবর্তন আনছে।

জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপনের ক্ষতিকর প্রভাব

দোকানের পিৎজা, বার্গার, নুডল্‌সের মতো জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপনগুলি এতটাই চকচকেভাবে দেখানো হয়, যে কারও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য। তবে শিশুরা সেগুলির ফাঁদে পড়ছে বেশি। বিজ্ঞাপন দেখেই খাবারের জন্য জেদ করছে। আর সন্তান অন্ত প্রাণের চাহিদা পূরণে অভিভাবকরাও ভালোবাসার নামে জেদ মেনে নেয়। বাচ্চার সঙ্গে নিজেরাও সেই খাবার খেতে থাকেন। পুরো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে। এর পরিণতি হিসেবে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, ফ্যাটি লিভার, হৃদরোগ, মহিলাদের PCOD -এগুলির মতো দীর্ঘস্থায়ী জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি।

কী বলছে সমীক্ষা?

ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, বিজ্ঞাপনে সব লোভনীয় রঙিন আকর্ষক জাঙ্ক ফুডের ছবি দেখেই নাকি এই সব খাবার বেশি খেয়ে ফেলছে ছোটরা। দিনে কম করে হলেও ১৩০ ক্যালরি বেশি ঢুকছে বাচ্চাদের শরীরে। এর আকর্ষণ এত বেড়েছে যে শহর থেকে গ্রামেও ছেয়ে গিয়েছে প্যাকেটজাত বাহারি খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা। এই চাহিদা উস্কে দিচ্ছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি ব্যবস্থা। যখন যা চাই বাড়ির দোরগোড়ায় হাতে এসে দিয়ে যায় ডেলিভারি বয়। মাছ-মাংস, সালামি-সসেজ, কেক-আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় সব।

শিশুদের মধ্যে বাড়তে পারে অসুস্থতা

এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘাড়ে চেপে বসবে রোগ ব্যাধি। অল্প বয়সেই অসুস্থ হবে তারা। রুচি ফিরবে না ঘরোয়া স্বাস্থ্যকর খাবারে। আপনার সন্তানকে বোঝাতে হবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে কতটা সুখ। স্ন্যাক্সের ক্রেভিংস বা খাবারের স্বাদ ঘরের খাবারেও মেলে। মরশুমি ফল, ড্রাই ফ্রুটস এগুলোর মতো সুখাদ্যের বিকল্প আর হতে পারে না। অভিভাবকেরই বাচ্চার মনের মতো ঘরোয়া খাবার কীভাবে বানানো যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাতটি সুপারফুড, জানুন একঝলকে
শীতের দিনে মুখের স্বাদ বদলান, খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন পালং কর্ন রেসিপি