
Soft and tasty Roti making: সব রান্না শিখে গেলেও রুটি বানানো ভীষণ কঠিন। আটা মাখা শিখলে রুটি গোল হয় না, গোল হলে রুটি সেঁকা হয় না ঠিক করে। যতই যত্ন করে রুটি তৈরি করা হোক না কেন, তা হয়তো যতটা চেয়েছিলেন ততটা নরম ও তুলতুলে হয় না। ফলে, খাবারের স্বাদও অনেকাংশে কমে যায়। এই সমস্যার সমাধান ভীষণই সহজ, আপনি জানতেন না তাই। কয়েকটি সাধারণ অথচ কার্যকর কৌশল অনুসরণ করলেই আপনি প্রতিবার নরম, তুলতুলে ও সুস্বাদু রুটি তৈরি করতে পারবেন।
রুটি মাখার সময় ঠান্ডা জলের পরিবর্তে হালকা গরম জল বা সামান্য গরম দুধ ব্যবহার করলে ময়দা আরও নরম হয়। এটি রুটির গঠনকে হালকা ও তুলতুলে রাখতে সাহায্য করে।
ময়দা মাখার পর অন্তত ১৫-২০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এতে গ্লুটেন সক্রিয় হয় এবং ময়দা হয়ে ওঠে নমনীয়। ফলস্বরূপ, রুটি ভালোভাবে বেলতে এবং সেঁকতে সুবিধা হয়।
ময়দা মাখার সময় ১-২ চা চামচ তেল বা ঘি মিশিয়ে নিন। এটি রুটিকে অতিরিক্ত নরম এবং ময়েশ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে।
খুব বেশি শক্ত কিংবা খুব আলগা ময়দা রুটির গঠন নষ্ট করে দিতে পারে। তাই মাঝারি ঘনত্বে, নরম ও মসৃণভাবে ময়দা মাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৫-৭ মিনিট ধরে ময়দা ভালোভাবে মাখলে তার মধ্যে গ্লুটেন ভালোমতো বিকাশ পায়, যা রুটিকে স্থিতিস্থাপক এবং তুলতুলে করে তোলে।
রুটি তাওয়ায় দেওয়ার ১০-১২ সেকেন্ড পর প্রথমবার উল্টে দিন এবং এরপর আরও ২০-২৫ সেকেন্ড পর দ্বিতীয়বার উল্টোন। এতে রুটি ফুলে উঠবে ও ভালোভাবে সেঁকে যাবে।
রুটি সেঁকার সময় কম আঁচ ব্যবহার করলে তা শক্ত হয়ে যায়। মাঝারি থেকে উচ্চ আঁচে সেঁকলেই রুটি ভালোভাবে ফুলে ওঠে ও নরম থাকে।
বেশি পরিমাণ শুকনো আটা ব্যবহারে রুটি শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই যতটা সম্ভব কম পরিমাণ শুকনো আটা ব্যবহার করুন এবং প্রয়োজনে সামান্য তেল লাগিয়ে বেলুন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।