
Brain Health: সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করার জন্য মেজাজ ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। বয়স হলেও তারুণ্য ঠেকিয়ে রাখার উপায় আছে। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা বলেন, বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার, বা যে সব জিনিস খেলে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, সেগুলি পাতে রাখলেই বজায় থাকে ত্বকের জেল্লা। সঠিক ডায়েটেই লুকিয়ে তারুণ্যের চাবিকাঠি। প্রতিটি মানুষ যেমন ধীরে ধীরে বার্ধক্যের দিকে এগিয়ে যায়, ঠিক তেমনই ত্বকের বয়স বাড়ে। তেমনই আবার মস্তিষ্কেরও বয়স বৃদ্ধি হয়। মস্তিষ্ক বুড়ো হলে কমতে থাকে স্মৃতিশক্তি। কমে যায় বুদ্ধিও। তবে চাইলে মস্তিষ্কের বার্ধক্যের গতি খানিকটা ধীর করা যায় বিশেষ খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে। সময় থাকতে থাকতে কিছু খাবার নিয়মিত পাতে রাখলে বয়সকালেও মস্তিষ্ক ও শরীর হবে সতেজ।
এর জন্য রোজ আপনার পাতে থাকুক নির্দিষ্ট কিছু খাবার। সেগুলো কী কী দেখে নিন একনজরে-
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের কথা উঠলে মাছের কথা সবার প্রথমে মনে পড়ে। যেসব মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে সেগুলো মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
রোজ সকালে ২ থেকে ৩টে আমন্ড জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন। আগের দিন রাত্রিবেলা জলে এই আমন্ড ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন খোসা সমেত বা খোসা ছাড়িয়ে ভিতরের শাঁসটুকু খেতে পারেন।
ভিটামিন কে ছাড়াও ব্রকোলিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। মস্তিষ্কে শান দিতে এইসব উপকরণ যথেষ্ট প্রয়োজনীয়।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলালেবু মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। মানসিক বিকাশ ঘটায়, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপকরণ বয়স্কদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে এবং বার্ধক্যজনিত রোগ যেমন- অ্যালঝাইমার্স, অ্যাংজাইটি থেকে আপনাকে দূরে রাখবে।
সাধারণ চকোলেট বা মিল্ক চকোলেটের তুলনায় ডার্ক চকোলেটে অনেক বেশি পরিমাণ কোকো থাকে যা মস্তিষ্কের দেখভাল করতে সাহায্য করে।
ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম, দুটোই উপকারী। আর ডিমের অমলেট বা পোচের তুলনায় সেদ্ধ ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। ভিটামিন বি৬ এবং বি ১২ থাকে ডিমের মধ্যে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
কফি খাওয়া মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে প্রচুর পরিমাণে কফি খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। অ্যাসিডিটির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ক্যাফাইন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- কফির এই দুই মূল উপকরণ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
শুধু অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে নয়, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও গ্রিন টি সাহায্য করে। মস্তিষ্ক সচল রাখতে এবং পার্কিনসনের মতো রোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে এই গ্রিন টি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।