বিয়ের দিনও নিস্তার নেই, মণ্ডপে বসেই অফিসের কাজ সারলেন হবু বর

একটি ওয়েডিং সংস্থার তরফে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে মহারাষ্ট্রের কোনও বাসিন্দার বিয়ে হচ্ছে। মণ্ডপের মধ্যে বসে পুরোহিতের সামনে অফিসের কাজ করতে দেখা যাচ্ছে হবু বরকে। 

Maitreyi Mukherjee | Published : Jul 25, 2021 1:19 PM IST

তৈরি রয়েছে বিয়ের মণ্ডপ। অতিথিরাও সবাই এসে গিয়েছেন। তৈরি রয়েছে কনে। এমনকী, চার হাত এক করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন পুরোহিতও। কিন্তু বরবাবাজি, তিনি অবশ্য তখন মশগুল রয়েছেন ল্যাপটপ নিয়ে বসে অফিসের কাজ সারতে। বরের বেশে মণ্ডপে বসেই ল্যাপটপে কাজ সারেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কথা এখন অনেকেই জানেন। কিন্তু, ওয়ার্ক ফ্রম ওয়েডিং দেখা গেল এই প্রথম! 

আরও পড়ুন- জানেন কী, আপনার জীবন থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে এক এক সেকেন্ড আয়ু

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বদলেছে অনেক কিছুই। এখন আর অফিসে যাওয়ার জন্য দৌড় ঝাঁপ করতে হয় না। শুধু কোনওভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে নির্দিষ্ট সময়ে ল্যাপটপের সামনে বসে গেলেই হল। তাহলেই কেল্লাফতে। এভাবে প্রায় ২ বছর ধরে বাড়ি থেকেই চলছে একাধিক অফিস। ফলে শুধুমাত্র সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করলেই হল। এর কারণে যেখানে খুশি বসে অফিসের কাজ সেরে নিতে পারছেন অনেকেই। কিন্তু, তা বলে নিজের বিয়ের মণ্ডপে বসে কাজ করার বিষয়টি এই প্রথমবার দেখা গেল। 

আরও পড়ুন- জলহস্তীকে দাঁত মাজানো থেকে উটপাখির বাচ্চার দেখভাল, বিশ্বের আজব কিছু চাকরি

একটি ওয়েডিং সংস্থার তরফে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে মহারাষ্ট্রের কোনও বাসিন্দার বিয়ে হচ্ছে। মণ্ডপের মধ্যে বসে পুরোহিতের সামনে অফিসের কাজ করতে দেখা যাচ্ছে হবু বরকে। আর তা দেখে দূরে বসে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন কনে। যেন এটাই এখন খুব স্বাভাবিক বিষয়। পুরোহিতের হাবভাবও এমন যেন বর বাবাজি অফিসের কাজ শেষ করলেই তিনি বিয়ে দিয়ে দেবেন। যাই হোক এরপর কাজ শেষ করে ল্যাপটপ অন্য এক আত্মীয়ের হাতে তুলে দেন হবু বর। তারপর বিয়েতে মন দেন। 

 

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিও। যা দেখে হাসি চেপে রাখতে পারেননি নেটিজেনরাও। কাজ পাগল মানুষ অনেকেই হন। কিন্তু, তা বলে নিজের বিয়ের মণ্ডপে বসে অফিসের কাজ সারা এই প্রথম। তাও আবার সম্ভব হয়েছে করোনার গুণেই। কে বলতে পারে বাড়িতে অফিস করার মতো এটাই হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে 'নিউ নরম্যাল'-এর তালিকায় ঢুকে পড়বে!
 

Share this article
click me!