
২০১১ সালে একটি গবেষণা যেখানে দাবি করা হয়, ‘ইলেকট্রোম্যাগনেটিক’ তরঙ্গের কারণে ‘স্লিপিং ডিজ়অর্ডার’ হতে পারে। সুতরাং রাতভর মোবাইলে ঘাটা, মাথার কাছে ফোন নিয়ে ঘুমোনোর কারণে অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ার মত ঘুমের সমস্যা হয়। আবার এখনকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’ (NIH)-এর একটি সমীক্ষা বলছে, ওয়াইফাই রাউটার থেকে যে ‘ইলেকট্রোম্যাগনেটিক’ তরঙ্গ বার হয়, তা মানুষের মস্তিষ্কের জন্য বিপজ্জনক।
ওয়াইফাই রাউটারের কারণে এখন ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। কর্মজীবনে, পড়াশোনার ক্ষেত্রে বা অন্য যেকোন ধরণের জ্ঞানমূলক কিছু জানতে এখন ইন্টারনেটের ভীষণ দরকার। বাড়িতে ওয়াইফাই কানেকশন নিয়ে ২৪ ঘন্টা ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা যায়। কিন্তু জানেন কি? এর ফলে মারাত্মক সব রোগ দানা বাঁধছে আপনার শরীরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে দিনভর ওয়াইফাই চালু রাখা বাড়ির বাচ্চা, বয়স্ক এমনকি প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্ক এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। রাউটার থেকে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বের হয় তা ক্যান্সার, মস্তিষ্কের সমস্যা এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ওয়াইফাই থেকে ক্রমাগত বেরোনো নন থার্মাল রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি রেডিয়েশন বাড়ির শিশু এমন কি গর্ভাবস্থায় থাকা ভ্রূণের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে। এই রেডিয়েশন গুলির বিকিরণ টিস্যুর বিকাশে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই অতিরিক্ত ফোন, রাউটার বা ব্লুটুথ স্পিকার বা হেডফোন ব্যবহার কম ঘুম বা অনিদ্রার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, ফলে কিছু মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া মানসিক একাগ্রতা হ্রাস, মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিম্বাণুর অভিউলেশন কমে যাওয়া, পুরুষদের স্পার্ম কাউন্টকেও প্রভাবিত করে এই তরঙ্গ গুলি।
সতর্ক থাকতে কী করবেন?
১. ঘুমোনোর সময়ে অতি অবশ্যই ওয়াইফাই রাউটার বন্ধ করে দিন।
২. ব্যবহার না করলে , ব্লুটুথ স্পিকার বা রাউটার বন্ধ রাখুন।
৩. মাথার কাছে ফোন নিয়ে শোবেন না। দূরে বা অন্যঘরে রাখুন ফোন। রাউটারও যেন মাথার কাছাকাছি না থাকে।
৪. রাতভর মোবাইল ঘাটা বন্ধ করলে বিপদ অনেক কমবে।