Mental Health: ফিরে আসুক মানসিক সুস্থতা! রোজকার কোন সাধারণ অভ্যাসগুলি আপনার মন খারাপের জন্য দায়ী?

Published : Jul 17, 2025, 01:11 AM IST
Is yoga better than gym for mental health?

সংক্ষিপ্ত

Mental Health: সারাংশ শরীরের মতো মনও অসুস্থ হয়, ক্লান্ত হয়, যত্ন চায়। কিন্তু ব্যস্ত জীবনের মাঝে শরীরের যত্ন নেওয়া ম্যানেজ করতে পারলেও আমার মনের যত নিতে ভুলে যাই।

Mental Health: বর্তমান ইঁদুর দৌড়ের জীবনে আমরা নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারলেও, মনের যত্ন নিতে হামেশাই ভুলে যাই। অথচ কর্মক্ষেত্রের প্রত্যাশা পূরণের চাপ, ভবিষ্যৎ চিন্তা, ব্যক্তিগত জীবন, অপছন্দের কাজ করা, সময়ের অভাবে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা, অতিরিক্ত ক্লান্তি - সব কিছুই মিলেমিশে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ভিতর থেকে দুর্বল করে দেয়।

শরীরের মতো মনও অসুস্থ হয়, ক্লান্ত হয়, যত্ন চায়। আর সেই মনকে সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন জীবনের এমন সব অভ্যাস আছে যার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন, এমনকি বদলানো জরুরি। জেনে নিন, মন ভাল রাখতে চাইলে রোজের কোন কোন অভ্যাস এখনই বদলে ফেলতে হবে।

রোজকার যেসব অভ্যাস মন খারাপের কারণ

১। ডিজিটাল আসক্তি

বিনোদনের চাহিদায় দিনের অনেকটা সময় মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপে কাটে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিরিজ, ইনফিনিট স্ক্রলিং, গেম—এসবই সাময়িকভাবে ভালো লাগলেও, সীমার বাইরে গেলে তা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। তার চেয়ে একটু বই পড়ুন, গান শুনুন, ছবি আঁকুন বা পছন্দের রান্না করুন, যা ভালো লাগে তাই করুন, কিন্তু ফোনে দেখার সময় নিয়ন্ত্রণে আনুন।

২। বাস্তব বন্ধুত্বে ভরসা রাখুন

সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার ‘ফলোয়ার’ বা 'ফ্রেন্ড' থাকলেও বাস্তব বন্ধু নয় কেউই। সারা ক্ষণ ফোনের সংস্পর্শে থাকার ফলে পরিবার-পরিজন, বন্দুবান্ধবের থেকে ক্রমেই দূরে চলে যাচ্ছি আমরা। মনোবিদরা বলেন, ভার্চুয়াল নয়, বাস্তব বন্ধুত্ব ও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটালে মন ভালো থাকে।

৩। ছোট্ট হলেও সফরে বেরোন

প্রতিদিনের একঘেয়ে জীবনের ছন্দ ভেঙে একটু কোথাও ঘুরতে বেরোনো ভালো। মনের ওপর জাদুর মতো কাজ করে। হতে পারে কাছাকাছি কোনও পার্ক বা কোথাও, এক দিনের ভ্রমণ বা ছুটির দিনে নিজের জন্য নিরিবিলি সময়। ইচ্ছে অনুযায়ী চলুন। মনের ক্ষতে এমনিই মলম লাগবে।

৪। পর্যাপ্ত ঘুম দরকার

রাতে দেরি করে শুয়ে মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা ঘুমিয়ে দিনে ক্লান্ত থাকার অভ্যাস দিন দিন মনের উপর চাপ ফেলে। ঘুম কম হলে মুড সুইং, অবসাদ ও চিন্তা বেড়ে যায়। রাত জাগার অভ্যাস বন্ধ করুন। দরকার ৮ ঘণ্টার গভীর ঘুম, শুধু শরীর ও মন দুইই ফুরফুরে থাকবে।

৫। কথা বলুন, অনুভূতি চেপে রাখবেন না

নিজের যন্ত্রণার কথা কাউকে না বললে সেটা মনের মধ্যে দানা বাঁধে। অবসাদ, উদ্বেগ ও মানসিক সমস্যা আরও খারাপ হতে পারে এতে। কথা বললে সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া না গেলেও মন হালকা হয়। যার সাথে কথা বলতে সহজ বোধ হয় যাকে বললে মন ভালো হয় তার সাথে কথা বলুন। সেরম হলে মনোবিদের সাহায্য নিন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

রোজ প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নিচ্ছেন! অজান্তেই কি শরীরকে ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন?
Teeth Health: দাঁতের ফাঁকে খাওয়ার আটকে থাকলে কি দিয়ে পরিষ্কার করবেন টুথপিক নাকি ফ্লজ?